ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
নওগাঁয় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

নওগাঁ: চলতি মৌসুমে নওগাঁয় ৩৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা থেকে চার লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এ বছর আম রুপালি, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি-৪ সহ দেশি-বিদেশ মিলে প্রায় ১৬ জাতের আম চাষ হয়েছে এ জেলায়।

মৌসুমের শুরু থেকেই তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে উত্তরের বরেন্দ্র অঞ্চল। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জেলা প্রশাসক থেকে আম নামানোর সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২২মে গুটি আম পাড়ার মধ্য দিয়ে আম নামানো শুরু হবে।

সময় অনুযায়ী গোপালভোগ ৩০ মে, ক্ষীরশাপাত/হিমসাগর ২ জুন, নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া/হাড়িভাঙ্গা ১০ জনু, আম্রপালি ২০ জুন, ফজলি ২৫ জুন এবং আশ্বিনা/বারি-৪/বারি-১১/গৌড়মতি/কাটিমন ১০ জুলাই আম পাড়ার ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়।

নওগাঁর সাপাহার বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের স্বত্ত্বাধিকারি সোহেল রানা জানান, প্রায় ৭৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে বাগান করা হয়েছে। এ বছরের শুরুতে প্রচণ্ড শীতের কারণে মুকুল আসতে দেরি হয়েছে। আবার প্রচণ্ড খরার কারণে পানি সেচ বেশি দিতে হয়েছে। আম্রপালি, গৌড়মতি, বারি আমচা, কাটিমন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়েছে। ব্যানানা ম্যাংগো দেড় হাজার পিস আছে। আম ভালো রাখতে কিছুদিনের মধ্যে আমে ফুড ব্যাগিং করা হবে।

আম চাষিরা বলছে, এ বছর প্রচণ্ড তাবদাহ ও খরায় আম বাগানের যত্ন ও পরিচর্যা বেশি করতে হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় খরচ হয়েছে বেশি ফলে ভালো দাম পাওয়ার আশায় করছি।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জাত ভেদে আম বাগানের পরিমাণ নাক ফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া এক হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি এক হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, খিরসাপাত এক হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ আম দুই হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, হাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশ্বিনা দুই হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি/ স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮ হাজার ৪২২ হেক্টর।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আম চাষিরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এবার আম উৎপাদনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ার আশা। স্বাদ ও দাম ভালো পাওয়ায় আম্রপালি, বারি ও ব্যানানা জাতের বাগানের পরিমাণ বাড়ছে।  

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি পরিসর বাড়াতে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমের ফুড প্রসেসিং প্রক্রিয়াজাত করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।