ঢাকা: দেশের গণপরিবহনে হয়রানি নারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে গণপরিবহন ব্যবহার করে কর্মস্থলে যেতে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে টট (ToT) প্রশিক্ষণার্থীরা কার্যসম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
প্রশিক্ষণার্থী ফাতেমাতুজ্জোহরা রুপা বলেন, বিআরটিসির প্রশিক্ষকেরা সুন্দরভাবে আমাদের বুঝিয়েছেন কীভাবে ট্রেনিং করাতে পারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী হয়ে যেভাবে দেশের জন্যে করে যাচ্ছেন, আমরাও করতে পারি। আমাদের যদি সে ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়, আমরা নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন আমরা আনতে পারবো। পরিবহন খাত নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, সেটা পরিবর্তন করতে পারবো যথাযথ সহযোগিতা পেলে।
অপর প্রশিক্ষণার্থী রেবেকা সুলতানা বলেন, পরিবহন এমন একটি খাত, সেখানে অর্থনীতি থেকে প্রতিটি খাতই জড়িত। পরিবহনের অদক্ষতার জন্য অর্থনীতিতে ক্ষতি আসতে পারে। সেজন্য আমাদের এ খাতে পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি নারীদের শুধু নয়, পুরুষদেরও যেন শেখাতে পারি।
নারীদের গণপরিবহনে ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তায় বের হলে ম্যানার নেই। যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকেরা খারাপ ব্যবহার করছেন, যাত্রীরাও করছেন। নারী প্রশিক্ষক, চালকেরা এক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে পারবেন সবার সহযোগিতায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, ১৬ মে, ২০২৪
এনবি/এইচএ/