ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
পাবনায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা 

পাবনা: পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে৷ 

ঘটনার পর ভুক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করিয়েছেন।  

এ ঘটনায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারসহ স্থানীয়রা।

আর দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরেই পালিয়ে গেছে অভিযুক্তরা।  

পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পড়াশোনা শেষ করে ওই শিক্ষার্থী বাড়ির বাহিরে বাথরুমে যাচ্ছিল। এসময় সুযোগ বুঝে ওই এলাকার বখাটে বারেক, ইমন ও সাজিদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে জোড় করে মেয়েটিকে ধরে দেয়াল পার করে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়৷ পরে তাদের দলে যুক্ত হয় সাব্বির ও তুহিন নামে একই এলাকার আর দুই বখাটে। পরে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাকে। পরে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বখাটেরা।  

পরিবারে সদস্য ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত করে পরিবারের সদস্যদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। ঘটনার পরে পুলিশের সহযোগিতায় সকালে ভুক্তভোগীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর নানি বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- ভাটপাড়া গ্রামের অমেদ আলী মৃধার ছেলে মো. বারেক মৃধা (২৬), মো. আব্দুল মজিদের ছেলে মো. তুহিন শেখ (২৩), মৃত সাহেব মণ্ডলের ছেলে মো. সাজিদ মণ্ডল, অমেদ আলী মৃধার ছেলে মো. ইমন মৃধা, মো. ঝন্টু মণ্ডলের ছেলে মো. সাব্বির মণ্ডল।  

অভিযুক্তদের বসতবাড়ি একই গ্রামে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বখাটেদের বিরুদ্ধে পূর্বেও মেয়েদের বিভিন্নভাবে ইভটিজিংসহ নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে৷ 

অভিযোগ রয়েছে ধর্ষকরা ধর্ষণের সময় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনার পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা চরম ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে সুজানগর থানার ওসি মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন বলেন, শুক্রবার রাতের ঘটনা। পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দরিদ্র অসহায় পরিবার। স্থানীয় কিছু যুবক এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা মিলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।