ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে ভুয়া নম্বরপ্লেট লাগিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা, আটক ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে ভুয়া নম্বরপ্লেট লাগিয়ে আত্মসাতের চেষ্টা, আটক ৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে ভুয়া নম্বর প্লেট লাগিয়ে পণ্য আত্মসাতের অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। তবে ট্রাক চালক পলাতক রয়েছেন।

 

সোমবার (২০ মে) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

আটকরা হলেন- টাঙ্গাইলের কামারগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. মমিনুল ইসলাম (৩০), মেসার্স শাহ এন্টার প্রাইজ এর ম্যানেজার মো. ইউনুছ আলী ও ট্রাক চালকের সহকারী রানা বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেসার্স মদীনা ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক ভারত থেকে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ২৮৬ বস্তা খৈল আমদানি করেন। যার চালান নম্বর-৯৮০৩৯। আমদানি করা এসব খৈল জেআর এন্টারপ্রাইজ নামক ট্রান্সপোর্ট অফিসের মাধ্যমে ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-২০-০১৫৩) ভাড়া করে গাজীপুরের কর্ণপুর অ্যাগ্রো ফিড নামক স্থানে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন শাহবাজপুর ইউনিয়নের শিয়ালমারা গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে মো. কদির আলী (৫০)।  

পরে ট্রাক চালক ঝিনাইদহ জেলার হলিধানী গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন ভুয়া নম্বরপত্র ও নিজের সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্যগুলো গাজীপুরে এসে ট্রাকের নম্বরপ্লেট খুলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও গাজীপুরের বাসন এলাকার মেসার্স শাহ এন্টারপ্রাইজে ১৫ টাকা কেজি দরে সম্পূর্ণ খৈল বিক্রি করে মেহেরপুরে আত্মগোপন করেন।  

পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মেহেরপুরে চালকের সহকারী রানা বিশ্বাসকে ট্রাকসহ আটক করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় চালক বিল্লাল পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত ১৭ মে চালকের সহকারী রানা আটকের পর  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিশ্চিত করে তার চালক ২৮৯ বস্তায় থাকা ১৪ হাজার ৬৬০ কেজি খৈল গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় বিক্রি করেছে।  

পরে সোনা মসজিদে পণ্য তোলার সময় চালান ফরমে ড্রাইভারের আসল নাম বিল্লাল হোসেন গোপন রেখে পিন্টু নাম দেন তিনি। এ সময় চোরাইকৃত গাড়ির মূল কাগজপত্র তারা ট্রাকে রেখে দেওয়ায় ট্রাকটি শনাক্তে সহজ হয়।

তিনি আরও জানান, আটক রানার তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৬০ টাকা কেজির পণ্য ১৫ টাকা কেজি দরে কেনায় টাঙ্গাইলের কামারগাঁও থেকে খৈল ব্যবসায়ী মো. মমিনুল ইসলাম (৩০) ও পরে ১৯ মে মেসার্স শাহ এন্টার প্রাইজ এর ম্যানেজার মো. ইউনুছ আলীকে একই অভিযোগে গাজীপুরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে ইউনুস তার মালিককে ফাঁকি দিয়ে কম দামে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রির পর এক লাখ ২৫ হাজার টাকা লাভ করে। লাভের টাকায় তিনি একটি মোটরসাইকেল কিনেন। পরে তাকে মেহেরপুর থেকে মোটরসাইকেল সহ আটক করা হয়। পরে পুলিশ খৈল বিক্রয়ের মমিনের কাছের সাত হাজার ৫০০ টাকা, ৮০ বস্তা খৈল ও দুই লাখ টাকা জব্দ করে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জেআর এন্টারপ্রাইজ জড়িত কিনা এবং এর আগে এ ধরনের কোনো অপকর্ম হয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্তে সংস্থাটির নাম আসলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত: গত ৩ মে ভারত থেকে আমদানীকৃত খৈল ভর্তি ট্রাক নিখোঁজ হওয়ার পর আমদানীকারক মো. কদির আলী শিবগঞ্জ থানায় গত ১৭ মে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।