লক্ষ্মীপুর: জেলার কমলনগর উপজেলায় কৃষকের বসতঘর ও ট্রাক্টর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের।
সোমবার (২০ মে) রাতে উপজেলার নবীগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীর কাঁকড়ার চরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চারজন কৃষককে মারধর করেন। পরে তিনজনের হাত-পা বেঁধে রেখে পালিয়ে যান হামলাকারীরা। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে।
আহত কৃষকরা হলেন- আবদুল মজিদ মজু মাঝি (৪৫), মো. সিদ্দিক উল্লাহ নুরুল ইসলাম (৬৩), মো. নুরুজ্জামান (৬০) ও মো. মোস্তফা (৬৫)। তারা সবাই কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহত কৃষক মজু মাঝি জানান, রাত প্রায় ১টার দিকে দুটি ট্রলারে করে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন মুখোশধারী সশস্ত্র লোক এসে তাদের চারজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি কৌশলে পালিয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। পরে অন্য তিনজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা কৃষকদের বসতঘরে পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় ঘরে থাকা একটি ট্যাফে ট্রাক্টরও আগুনে পুড়ে যায়। রাতভর ওই তিনজন দড়িতে বাঁধা ছিলেন। ভোরের দিকে চরে গিয়ে তাদের বাঁধন খুলে দেন তিনি। পরে ঘটনাটি সমতলের লোকজনকে জানানো হয়।
চর কাঁকড়া ভূমিহীন কৃষক সমিতির সভাপতি মো. আহসান উল্লাহ হিরণ জানায়, মেঘনা নদীতে যারা ভূমি হারিয়েছেন তারা চরের জমিতে গত বছর থেকে চাষাবাদ শুরু করেছেন। সেখানে ধান এবং সয়াবিনের আবাদ কার হয়েছে। চরে কৃষকদের থাকার জন্য আশ্রয় ঘর তৈরি করা হয় এবং জমি চাষের জন্য বড় একটি ট্রাক্টর রাখা হয়। কিন্তু গভীর রাতে কৃষকদের আশ্রয় ঘর ও ট্রাক্টর পুড়িয়ে দিয়েছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। এতে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তহিদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
এসএম