কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দসহ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ এক কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ।
গ্রেপ্তার আরসা কমান্ডার মো. আব্দুল্লাহর (৩২) বিরুদ্ধে আটটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে আরও মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উখিয়ায় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।
মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্র করে মিয়ানমারের কয়েকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এসব সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আরসার শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে আটটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে আরও মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে প্রযুক্তির সহায়তায় এপিবিএন আব্দুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। উখিয়ায় ২০-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বসতঘরে তিনি অবস্থান করছেন- খবরে এপিবিএন অভিযান চালায়। ওই ঘরে ঘুমে ছিলেন তিনি। তাকে আটক করার সময় তার দেহ তল্লাশি করে বিদেশি একটি পিস্তল ও দুটি গুলি পাওয়া যায়। বিছানার পাশে ঝুলিয়ে রাখা একটি ব্যাগে পাওয়া যায় আরও একটি বিদেশি পিস্তল।
এডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, পরে গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহকে এপিবিএনের হেফাজতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৪ ও এস-১ ব্লকের কাঁটাতারের সীমানার বাইরে লাল পাহাড়ে অভিযান চালায়। এ সময় পাহাড়ের ঢালু স্থানে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায় তিনটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ২৪টি গুলি ও ২৩টি গুলির খোসা।
তিনি বলেন, গত ১৩ মে উখিয়ার ৪-এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন রোহিঙ্গা মাঝি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। ওই হত্যার ঘটনায় আব্দুল্লাহ সরাসরি জড়িত ছিলেন। ওই মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও সাতটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে।
আব্দুল্লাহর নামে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ ইকবাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
এসবি/আরএইচ