একক ঋণ গ্রাহক সীমা ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম।
বুধবার (০৫ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যাংকিং খাত বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে এ সুপারিশ তুলে ধরেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মা্হবুবুল আলম বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে সংকটকাল চলছে। উৎপাদনকারীগণকে সুরক্ষার লক্ষ্যে স্বল্প মেয়াদি ঋণকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা, ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং নিয়মিতভাবে যাতে এলসি (ঋণপত্র) খোলা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি সুদের হার বৃদ্ধি না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ মেয়াদি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৬ (ছয়) মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদান করা, ডলার সরবরাহ নিশ্চিত করা, ব্যাংকের চার্জ ও কমিশন যৌক্তিক করা এবং দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকে এক্সিট প্রদানের সুপারিশ করেন।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতি বিস্ময়কর। তবে কোভিডের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতিতেও মাথাপিছু আয়সহ আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সূচকে আমরা অগ্রগতি অর্জন করেছি। এ অর্জন সম্ভব হয়েছে সরকার, বেসরকারি খাত ও ব্যাংকিং সেক্টরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে।
তিনি বলেন, আজকে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের পুঁজি যোগান থেকে শুরু করে চলতি মূলধন ও অন্যান্য সব অর্থায়ন হয়ে থাকে ব্যাংক খাতের মাধ্যমে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম যথাযথভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য এফবিসিসিআই-এর সাথে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিবিড় যোগাযোগ থাকা জরুরি।
সভায় এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় ডলার বেচা-কেনা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে অবস্থা আরও স্বস্তিদায়ক হবে। সুদ হার ১৪ শতাংশের মধ্যে রাখতে ব্যাংকগুলো সবার্ত্মক চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইসলামি ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যাংকিং খাত বিষয়ে এফবিসিসিআই ও ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্টরা মাঝে-মধ্যে এমন বৈঠক করতে পারলে অনেক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা যাবে, ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দূরত্বও আরও কমে আসবে।
এসময় অন্যান্যের আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, মো. মুনির হোসেন, এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধানরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা,জুন ৬,২০২৪
জেডএ/এমএম