ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুবার পুরস্কার পেয়েছে ‘জামালপুরের ডন’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
দুবার পুরস্কার পেয়েছে ‘জামালপুরের ডন’ 

জামালপুর: কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু প্রস্তুত করেন খামারিরা। এ সময় দেশের সব জেলাতেই বিশাল আকৃতির ষাঁড়ের দেখা মেলে।

এসব ষাঁড় বা বড় গরুর অদ্ভুত সব নামও রাখেন মালিকেরা।  

এবারও জামালপুরে জেলার সেরা গরু হচ্ছে ‘ডন’।  তাকে ‘জামালপুরের ডন’ নামেই ডাকা হচ্ছে।  

দীর্ঘ চার বছর ঘরোয়াভাবে লালন-পালনের পর কোরবানি ঈদ সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিশালদেহী ষাঁড়টিকে। এর ওজন প্রায় ৩০ মণ।  

একদম দেশীয় জাতের গরুর মত দেখতে এই ষাঁড়টি শাহীওয়াল জাতের। দুইবার জেলা প্রাণিসম্পদ মেলায় পুরস্কার পেয়েছে  জামালপুরের ডন।  

চার বছর আগে একটি বাছুর কেনেন জামালপুর পৌরসভার রশিদপুর এলাকার মোশাররফ হোসেন। এরপর পরিবারের সবাই মিলে দেখাশোনা করে একে বড় করেছে। সেই বাছুর এখন পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রায় ১৪০০ কেজি ওজনের ডন।  

বিক্রির জন্য একটি ভালো দাম প্রত্যাশা করেন জামালপুরের ডনের মালিক মোশাররফ হোসেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চারবছর আগে মেলান্দহ থানার গাজিপুর হাট থেকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে গুরুটা কিনেছিলাম। অনেক কষ্ট করে আমরা পরিবারের সবাই মিলে একে লালনপালন করেছি। চিরদিন তো এই গরু রেখে দিতে পারব না। কোরবানি ঈদ সামনে বিক্রি করে দেব।

মোশারফের ছেলে শ্রাবণ বলেন, আমরা দেশীয় খাবারের মাধ্যমে গরুটি মোটাতাজা করেছি। অনেক খরচ হয়েছে এই চার বছরে। জেলায় যে প্রাণিসম্পদ মেলা হয় সেখানে দুইবার আমাদের বড় গরু হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। এ জন্য এই গরুর নাম দেওয়া হয়েছে জামালপুরের ডন। গরুটার ছয় দাঁত হয়ে গেছে, এখন আর লালনপালন সম্ভব নয়। এবারের ঈদেই বিক্রি করে দেব।

এদিকে ‘জামালপুরের ডন’কে দেখতে প্রতিদিনও লোকজন আসছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ক্রেতারাও আসছেন নিয়মিত।  

ইসলামপুর উপজেলা থেকে আজিজুর নামের এক ক্রেতা গরুটিকে কেনার জন্য দেখতে এসেছেন।  

তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম ছোট গরু হবে ২ লাখ বা ৩ লাখের ভেতরে নিয়ে যাব। এখানে এসে তো আমি অবাক। অনেক বড় গরু।

জামালপুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জেলার বড় গরুগুলোর ভেতর অন্যতম এই ডন। সম্পূর্ণ দেশীয় উপায়ে বড় করা হয়েছে একে। আমরা সব সময় গুরুটির খোঁজখবর রাখি। জেলায় এবার ৯৫ হাজার ১৭০টি কোরবানি যোগ্য গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। আর চাহিদার পরিমাণ ৫২ হাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।