ঢাকা: এক সপ্তাহ পরই কোরবানির ঈদ। কিন্তু ঢাকার গাবতলী পশুর হাট দেখে তা বুঝার উপায় নেই।
সোমবার (১০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখে যায়, কোরবানির পশু রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে পেন্ডেল। পেন্ডেল তৈরিতে বাঁশ, দরি ও ত্রিপল টানাতে দেখা যায় গরুর ব্যাপারী ও শ্রমিকদের ব্যাস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। গরু রাখার পেন্ডেল তৈরিতে ট্রাক থেকে নামছে বালু। আর ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা গরম থেকে গরুকে স্বস্তিতে রাখতে সিলিং ফ্যান লাগাতে দেখা যায়।
দর্শনার্থী মো. সিয়াম তার বন্ধুদের নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন মিরপুর-১৪ নম্বর থেকে। তিনি বলেন, হাটে এসে গরুই দেখতে পারলাম না। শুধুশুধু আসলাম বন্ধুদের নিয়ে। আমার মনে হয় আরও দুই থেকে তিন দিন পরে জমবে গাবতলীর পশুর হাট। এখনও গরু আসছে।
মিয়া হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি এবার হাটে ১২ টি পেন্ডেল নিয়েছি। আমার এবার গরু আসবে দেড় থেকে দুই হাজার। আমার বেশির ভাগ গরু আসে যশোর, কুষ্টিয়া ও পাবনা থেকে। আগামীকাল থেকে আমার ট্রাকে গরু নামবে গাবতলীতে। এবার আফতাব নগরে হাট না বসায় গাবতলীতে চাপ বাড়বে। আশা করি দুই-এক দিনে হাট জমে উঠবে।
গাবতলী পশুর হাটে ভারতের রাজস্থান থেকে আনা উট তোলা হয়েছে। উট দেখতে ভিড় করছে দর্শনার্থী ও ইউটিউবাররা। মো. মাহফুজুর রহমান অপু দুটি উট এক মাস আগে কিনেছেন। এরপর সড়কপথে উট দুটি বাংলাদেশে আনা হয়।
উটের মালিক মো. মাহফুজুর রহমান অপু বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি উটে ১৫ মণ মাংস হবে। আমার পরিবার উটের ব্যবসার সঙ্গে ২০-৩০ বছর জড়িত। আমার বাবাও এই ব্যবসার সাথে জরিত। পরিচর্যা হিসেবে ঘাস, কুড়া ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে উট দুটিকে।
তিনি বলেন, রাজস্থান থেকে দুটি উট নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য কোরবানির সময় বিক্রি করা। আমরা দুটি উটের দাম চাচ্ছি ৬০ লাখ টাকা। তবে কিছু কমে বিক্রি করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা,জুন ১০,২০২৪
এমএমআই/এমএম