ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ জুন ২০২৪, ১৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কনস্টেবল কাওসার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কনস্টেবল কাওসার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের

কুষ্টিয়া: রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ড রুমের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন কাওসার আলী নামে অপর এক পুলিশ সদস্য।  

কাওসার আলী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

 

কাওসারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া গ্রামে। কাওসার স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টারের ছোট ছেলে।

শনিবার (৮ জুন) রাতে কনস্টেবল কাওসার আলীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, কাওসার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর পুলিশে যোগদান করেন। চাকরি জীবনের পাঁচ বছর কাটিয়ে ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে সরকারিভাবে কয়েক বার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। চাকরিরত অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। তবে পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না বলেও জানান পরিবারের সদস্যরা।  
 
পুলিশ সদস্য কাওসার মাদকাসক্ত ছিলেন কি না সে বিষয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী বলেন, কাওসার মানসিক রোগে আক্রান্ত, তবে মাদকাসক্ত নন। তিনি মাঝে মাঝেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেন।

কাওসারের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথীর দাবি, ঘটনার চার-পাঁচ দিন আগে থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কম কথা বলেছেন কাওসার। তিনি মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। পারিবারিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না। তবে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সঙ্গে কম যোগাযোগ করেন এবং কথাও কম বলেন।

আরও পড়ুন: সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা: কনস্টেবল কাওসার ৭ দিনের রিমান্ডে

কাওসারের মা মাবিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে এমনিতে খুব ভালো। তার মাথার সমস্যা আছে। সে চাকরিতে যোগদানের পর অসুস্থ হয়। তার সঙ্গে আমার শনিবার রাত ৮টায় কথা হয়। আমার সঙ্গে ভালোভাবেই সে কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে, জিজ্ঞেস করেছে আমাকে। তবে কয়েকদিন ধরে বাড়িতে একটু কম কথা বলত আমার ছেলে কাওসার।

দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, কাওসার চাকরিতে যোগদানের পাঁচ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত। কয়েকবার চিকিৎসা করানোর পর সুস্থ হয়ে আবার চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।