ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবৈধ ফোনের বিরুদ্ধে ঘন ঘন অভিযান: ডিবি প্রধান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
অবৈধ ফোনের বিরুদ্ধে ঘন ঘন অভিযান: ডিবি প্রধান সেমিনারে কথা বলছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ঢাকা: মোবাইলফোনের দেশীয় শিল্পের বাজারের বিকাশের জন্য অবৈধ ফোনের বিরুদ্ধে ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টারস নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ) আয়োজিত ‘দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।



ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিটিআরসির মহাপরিচালক মনিরুজ্জামান জুয়েল, রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংক ডিজিটালের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, মটব মহাসচিব লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ বক্তব্য দেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, আজকে গার্মেন্টস শিল্পের যে বিকাশ হয়েছে, মোবাইলফোনের এত বড় বিশাল বাজার। এখানে যেমন সম্ভাবনা আছে, তেমনি চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকিও রয়েছে। বিমানবন্দরে প্রায় দেখি, ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন একটা চ্যানেল দিয়ে আসে, লাগেজ বলে। সেখান দিয়ে শত শত মোবাইল আসে। একটা গ্রুপ আছে তারা এই মালগুলো বের করে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য কম দামে অন্য লাইন দিয়ে নিয়ে আসছে। আমাদের মোবাইল মার্কেটে কম দামে বিক্রি করে। যারা অবৈধভাবে আনে তারা কম দামে আনে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং যারা উৎপাদন করেন তারাও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, মোতলেব প্লাজায় কম দামে যে ফোন বিক্রি করছে, বাইরে থেকে এসেছে। এটার কিন্তু অনেক রিস্ক আছে। সেখানে তারা কী ঢুকিয়ে দিলেন বা কী করলেন?  

তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, মোবাইলটা যখনই অন করবেন, একটা সেন্ট্রাল পয়েন্ট থাকবে, তাহলে সিম ব্যবহার হবে। তখন আমরাও আইন-শৃঙ্খলা নিন্ত্রণের জন্য, ধরার ক্ষেত্রে আমরা সেটা ব্যবহার করত পারব।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমার মনে হয় ঘন ঘন অভিযান পরিচালনা করে, ভোক্তা অধিদপ্তর আপনারা আসলেন, আপনারাও করলেন, আমরাও করলাম। আমাদের সাইবার ডিভিশন আছে। যদি আমাদের প্রয়োজন মনে হয়, আমাদের কোনো কাজে লাগাবেন, আমরা আসলে অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করতে চাচ্ছি। দেশ  এগোচ্ছে, অপরাধীরা সাইবার ক্রাইমের দিকে ঝুঁকছে। সব বিবেচনা করে আইন তৈরি করতে হবে। তাহলে আমরা এই বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যেতে পারব। দেশ লাভবান হবে।

‘সবাই মিলে প্রণোদনা দিয়ে বাজার ধরে রাখতে হবে। এই বাজার হাতছাড়া হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমরা দেশি পণ্য কম দামে ব্যবহার করব। আমরা যারা দেশি ফোন উৎপাদন করছি, এটা কিনলে লাভবান হবে। টাকা দেশে থাকবে। দেশ লাভবান হবে। সরকার উপকৃত হবে। এ ধরনের স্লোগান দিয়ে আমাদের এগোতে হবে। মানুষের দ্বারপ্রান্তে বাজারটা নিয়ে যেতে হবে। তাহলে এটা আরও এগিয়ে যাবে। বাজার যত বাড়বে আপনারা লাভবান হবেন, দেশও লাভবান হবে। ’

টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সখাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।