ঢাকা, শনিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদে চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না: র‍্যাব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
ঈদে চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না: র‍্যাব ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঈদুল আজহায় কোরবানি পশুর চামড়া বেচাকেনা নিয়ে কোনো সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে কোরবানির পশুর হাট নিয়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সার্বক্ষণিক হাটে উপস্থিত আছেন। কোনো অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত কিংবা মোটা-তাজাকরণের ওষুধ প্রয়োগ করা কোনো পশু যেন বিক্রি করতে না পারে কেউ। এ ধরণের কার্যক্রম দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণিসম্পদ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতাদের যেন কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।  

গাবতলী পশুর হাটসহ প্রতিটি হাটে র‌্যাব ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, র‍্যাব ব্যাটেলিয়নে কন্ট্রোল রুম প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা কোনো ধরনের ভোগান্তি বা সমস্যায় পড়লে আমাদের কন্ট্রোল রুমে অথবা র‍্যাব সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা আপনাদের সব ধরনের সহায়তা করবো।  

কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেটের বিষয়ে সতর্ক করে আরাফাত ইসলাম বলেন, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের আমরা সতর্ক করতে চাই। পশুর চামড়া নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট বরদাশত করা হবে না। চামড়ার ব্যবসা নিয়ে যেন কোনো এলাকার মধ্যে গোলমালের সৃষ্টি না হয়। সে ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলবে।

তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতিটা মহল্লা ও রাস্তাঘাটে আমাদের টহল টিম এবং স্ট্রাইকিং টিম আছে। কোরবানির পশু নিয়ে অথবা পশু কিনতে হাটে যাওয়ার সময় রাস্তায় যেন কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়। সে ব্যাপারেও আমরা সতর্ক আছি। তবে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার এ পরিচালক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী গরুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপরে বা হাটের সীমানার বাইরে গরু নিয়ে বসেছে কি না, এ বিষয়ে আমি ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলব। যাতে ব্যাপারীরা কোনো অসুবিধায় না পড়েন।  

অনেক হাট আবাসিক এলাকার মধ্যে হয়, এ বিষয় জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত বলেন, এ বিষয়ে আমি সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমি জনপ্রতিনিধিদের আহ্বান করবো, তাদের দায়িত্ব পালন করবেন এবং এই বিষয়টি যেন দেখেন।  

এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন ও কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। কেউ যদি এ রকম কার্যক্রম করে থাকে, যা আইনবিরোধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে, কেউ এক হাটের গরু অন্য হাটে নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে গরু বিক্রেতারা অভিযোগ জানালে আমরা অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
এমএমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।