ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গবাদি পশুর ভেজাল ওষুধের কারখানা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
গবাদি পশুর ভেজাল ওষুধের কারখানা, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

ঢাকা: শ্যামপুরের পশ্চিম ধোলাইপাড়ের সাবান ফ্যাক্টরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে গবাদি পশুর রুচি বর্ধক ভেজাল ওষুধের একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় বাবা ছেলেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি লালবাগ বিভাগ।

শুক্রবার (১৪ জুন) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল গাফফার, তার ছেলে তানভীর ও কর্মচারী নাঈমুজ্জামান।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের বোতল, স্টিকার, ড্রাম ভর্তি বিভিন্ন কেমিক্যাল, পাউডার, বস্তা ভর্তি সোডিয়াম লবণ, বালতি, মগ ও স্প্রে উদ্ধার করা হয়েছে।

ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে ইউরো সায়েন্স ফার্মা নামের কোম্পানির ব্যানারে ওয়ারী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে কারখানা চালিয়ে আসছিলেন। তারা অনলাইনে এবং অফলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নিয়োগ এবং গবাদি পশুর ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচা করতেন। বিজ্ঞাপনে তারা বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ভেটেরিনারি ওষুধ বাজারজাতকরণ করে থাকেন বলে প্রচার করতেন।

তিনি জানান, গবাদি পশুর ওষুধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করতে থাকা এই কোম্পানিটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে গবাদি পশুর জন্য রুচি বর্ধক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা পত্রের জন্য সিরাপ এবং ট্যাবলেট ইত্যাদি আমদানি করার কথা অফলাইনে অনলাইনে প্রচার করে বেড়ালেও তারা মূলত চকবাজার ও মিটফোর্ড এলাকা থেকে বিভিন্ন রকম ছাই, ভস্ম, জেল এবং রঙ ইত্যাদি ক্রয় করেন।

চকবাজার থেকে কেজি ধরে প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে ফকিরাপুলের বিভিন্ন প্রিন্টিং প্রেস থেকে বিদেশি হলোগ্রাম ও স্টিকার বানিয়ে প্লাস্টিকের বোতলে সেঁটে দিতেন। এভাবে গবাদিপশুর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ বিক্রি করতেন।

গবাদিপশু এই ওষুধ মিশ্রিত খাবার খেলেও তা গবাদি পশুগুলোর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মানুষের জন্য পরবর্তীতে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এ ব্যাপারে শ্যামপুর থানায় একটি মামলা দায়ে করা হয়েছে বলে বলে জানান ডিসি মশিউর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
পিএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।