ঢাকা, শনিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আজও সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

সাঈদ আল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
আজও সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঢাকা: চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলোর কেবিন, প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণি বুকড, ডেকেও মিলছে না জায়গা। চাদর, লুঙ্গি বিছিয়ে বসেছে অনেক পরিবার।

 
বুধবার (১৯ জুন) সকাল থেকেই সদরঘাটের চিত্র এমনই।  

রাজধানীতে ঈদ উদযাপন শেষে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অনেকেই।  
কেউ কেউ জানিয়েছেন, কোরবানি ঢাকায় দিয়েছেন। ফ্রিজে জমানো মাংস নিয়ে দু-দিন পর গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।  

বিশেষ ডিউটির কারণে ঈদে ছুটি নেননি। তাই অফিস ডিউটি শেষে ছুটি নিয়ে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বেসরকারি চাকরিজীবী।  

সপরিবারে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন মোখসেদুল পাটওয়ারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গার্মেন্ট সেক্টরে জব করি। ঈদে ডিউটি পড়েছিল। তাই গ্রামে ঈদ করা হয়নি এবার। তবে বাচ্চাদের আবদার দাদা-দাদিকে দেখার। ওদের স্কুলের ছুটিকে কাজে লাগালাম। এজন্য আজ যাচ্ছি।  

কাঁধে ছোট্ট ব্যাগ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন রাসেল। চাঁদপুর হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় লক্ষ্মীপুর যাবেন।  

এই তরুণ বললেন, সবাই গ্রামে। বাসা খালি তাই নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকায় একা ঈদ করেছি বন্ধুদের সঙ্গে। এখন পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসতে যাচ্ছি।  

ব্যবসায়ী ইকবাল মোল্লা জানালেন ভিন্ন কথা। ঢাকায় স্টেশনারি দোকান রয়েছে তার। দোকানদারি করতে গিয়ে ঈদে বাড়ি ফেরা হয়নি আর।  
তিনি বললেন, একদিন দোকান বন্ধ রাখা মানেই লোকসান। ঈদে বেচা-বিক্রি ভালো হয়। তাই ঈদে ঢাকায় দোকান খোলা রেখেছিলাম। কিন্তু এখন একটা সুযোগ পেয়ে গেছি। তাই যাচ্ছি।  

যাত্রীবোঝাই লঞ্চ নিয়ে রওনা দিতে পেরে খুশি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। চাঁদপুরগামী বোগদাদীয়া-৭ লঞ্চের টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হলো, সিঙ্গেল, ডাবল সব কেবিন ভাড়া হয়ে গেছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও বিজনেস ক্লাসের চেয়ারও খালি নেই একটিও। ডেকের যাত্রীদের অনেকে বসার জায়গা না পেয়ে ছাদে বসেছেন। মেঘলা আকাশ, রোদ নেই। যেতে কষ্ট হবে না।  

জানা গেছে, আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছিল চাঁদপুরগামী লঞ্চের প্রথম ট্রিপ। সোনারতরী, মিতালি, আবে জমজম নামের লঞ্চ তিনটিও যাত্রীবোঝাই হয়েই ছেড়ে গেছে।  

আজ সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ফাঁকা পাওয়া গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যানবাহনের ব্যাপক চাপ দেখা গেছে। অনেকেই বাস, সিএনজি, গাড়ি থেকে নেমে শ্যামবাজারের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে টার্মিনালে এসে লঞ্চ ধরেছেন বলে জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪ 
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।