ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাবির সিনেট অধিবেশনে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
ঢাবির সিনেট অধিবেশনে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব

ঢাকা: ‘তৃতীয় শ্রেণির লোকজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে। এসময় সিনেটে অধিবেশনে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত সভায় নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেন সিনেটর আনোয়ার হোসেন।

বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল।

গত রোববার (৯ জুন) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর আলোচনা সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কল্পনা করা যায় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির লোকজনকে ভাইস চ্যান্সেলর করা হয়। তা হচ্ছে তো। বাস্তব সত্য কথা তো এটা। যে বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে তারা বেঁচে থাকতে চায় সেখানেও তারা ছাত্রলীগ ঢুকিয়ে দিতে চায়। ’

এই বক্তব্যে ‘তৃতীয় শ্রেণীর লোকজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়’ উপস্থাপন করে প্রথমে নিন্দা প্রকাশ করেন এ কে এম মাহবুব। সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্যের ওপর সিনেট সদস্য আনোয়ার হোসেন নিন্দা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।  

নিন্দাপ্রস্তাব রেকর্ড করে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক। তিনি যেই হোক, কেউ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নির্বিচারে এ ধরনের মন্তব্য করে, তখন তার রুচিবোধ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।  

এসময় সঙ্গে সঙ্গে পয়েন্ট অব অর্ডার জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, বিষয়টি একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বক্তৃতা। প্রফেসর মাহবুব যেভাবে বলেছেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) যে সেভাবেই তা বলেছেন, তা নয়। অনেক সময় হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কথা বলতে গিয়ে এ ধরনের কথা চলে আসে। একজন অধ্যাপক এটি তুলেছে, কিন্তু উপাচার্যের জায়গা থেকে এটি গ্রহণ করার দিকে না যাওয়াই ভালো।  


এরপর পয়েন্ট অব অর্ডারে অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূইয়া নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন, আমার সহকর্মী সাদা দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম তারা নিজেরাই নিন্দা প্রস্তাব আনবেন বা সমর্থন করবেন।

তবে সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত দেন। তিনি বলেন, অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্গনে ১০ টাকায় চা-চপ-সিঙ্গারা বিক্রি করে উন্নয়ন দেখাতে চেষ্টা করেন, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাকে আমি অন্যায় মনে করি না।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।