মাদারীপুর: মাদারীপুরে হঠাৎ করেই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। দিনরাত মিলিয়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টাও বিদুৎ থাকছে না।
জানা গেছে, মাদারীপুর জেলায় প্রায় ৪ লাখ পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকের ১০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৭০-৭৫ মেগাওয়াট। ৮০টি সাবস্টেশনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিবেচনা করে লোডশেডিং ভাগ করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে তেল, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কম থাকায় উৎপাদন কমে গেছে, এতে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও সাতদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে থাকার কোনো উপায় নেই। বিদ্যুৎ না থাকায় চরম ভোগান্তি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। রোগীদের অবস্থা করুণ।
ছাপাখানার শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না থাকায় সময় মতো কাস্টমারদের কাগজপত্র ডেলিভারি দিতে পারছি না। এতে লোকসান হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জোনাব আলী জানান, একদিকে প্রচণ্ড গরমে বেড়েছে চাহিদা, অন্যদিকে উৎপাদন কম হওয়ায় দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। এলাকা অনুযায়ী লোডশেডিং বাড়ে ও কমে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও সাতদিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
জেএইচ