ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এগিয়ে ঝিনাইদহ, পিছিয়ে গাইবান্ধা: জরিপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে এগিয়ে ঝিনাইদহ, পিছিয়ে গাইবান্ধা: জরিপ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে এগিয়ে রয়েছে ঝিনাইদহ এবং পিছিয়ে রয়েছে গাইবান্ধা। দেশের ৩০টি জেলার ওপর চালানো এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সহায়তায় ‌‘জেলাভিত্তিক এই রিপোর্ট কার্ড’ তৈরি করেছে ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন: জেলাভিত্তিক মূল্যায়ন’ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য তুলে ধরেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প পরিচালক আজিম খান।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, তামাকের ব্যবহার এবং সহজলভ্যতা দেশের সার্বিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে একটি বড় বাধা। সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সহায়ক বিধি-বিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জনস্বাস্থ্যের ওপর তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়ে আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বরাদ্দ দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে আইন বাস্তবায়নে সহায়ক উপকরণ প্রকাশ, প্রশিক্ষণ দেওয়া, নিয়মিত টাস্কফোর্স সভা, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণে অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সংবেদনশীল করার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ কর্ম এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ রাখছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিকতা, প্রতিশ্রুতি ও গৃহীত উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণমূলক তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে দেশের ৩০টি জেলার জেলাভিত্তিক রিপোর্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচির অগ্রগতির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা এবং মূল্যায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া রিপোর্ট কার্ড তৈরির ক্ষেত্রে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বিধায় স্থানভেদে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন চিত্র মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়েছে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের জরিপ অনুযায়ী, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে ৩০টি জেলার মধ্যে তিনটি জেলা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ঝিনাইদহ ৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বরিশাল ৪৯ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নাটোর ৪৮ শতাংশ।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে ১১টি জেলা। যথাক্রমে সেগুলো হলো- কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, ঢাকা, মাগুরা ও মৌলভীবাজার।

অসন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে ১০টি জেলা। যথাক্রমে সেগুলো হলো- নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, পাবনা, নেত্রকোনা, ঠাকুরগাঁও, সিলেট ও পিরোজপুর।

ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে ছয়টি জেলা। যথাক্রমে সেগুলো হলো- কক্সবাজার, চুয়াডাঙ্গা, জামালপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাইবান্ধা। গাইবান্ধার স্কোর ১৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ভাইটাল স্ট্রাটিজিসের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।