ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পাঠ্যপুস্তকে এআই অন্তর্ভুক্ত করতে আলোচনা হয়েছে: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
পাঠ্যপুস্তকে এআই অন্তর্ভুক্ত করতে আলোচনা হয়েছে: পলক

ঢাকা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত এআইকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এআইর ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘এআই আইন’ প্রণয়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৩ জুলাই) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সংবিধান, বাজেট এবং স্টার্টআপ এই তিনটি জিপিটি নিয়ে নিজস্ব টুলসেটের ওপর জাতীয়ভাবে তৈরিকৃত এআই-ভিত্তিক জিপিটি প্লাটফর্ম ‘জি-ব্রেইনের (GBrain)’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদের সক্ষমতা তৈরির মাধ্যমে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চাই। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই বৈশ্বিক অগ্রযাত্রায় আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। সেই লক্ষ্য অর্জনে এআই, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও মেশিন লার্নিংয়ের মতো প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ সমৃদ্ধ স্মার্ট ও মেধাবি প্রজন্ম গড়ে তোলা হবে। সেই স্মার্ট প্রজন্মই গড়ে তুলবে আমাদের আগামীর উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আজ এআই নির্ভর জিপিটি প্ল্যাটফর্ম ‘জি-ব্রেইন’ (www.gbrainbd.ai) উদ্বোধন করলাম, ভবিষ্যতে এটা মাইগ্রেট করে আমাদের ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে হোস্ট করা হবে এবং নিয়মিত আপডেট ও ব্যবহার বান্ধব করা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা পাবলিক-প্রাইভেট-একাডেমিয়া পার্টনারশিপের ভিত্তিতে এই কাজটা করেছি। এআই এর ইতিবাচক প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের সকল লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ও স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনিয়োগ ও এডিপি নিয়ে আরও জিপিটি তৈরি করে জি-ব্রেইনকে সমৃদ্ধ করা হবে।

পলক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে ডাটা বা তথ্য-উপাত্ত। সেই ডাটা ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা জেনারেটিভ এআই সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে প্রযুক্তির প্রভাব ও প্রসারের চিত্র বদলে দিয়েছে। বর্তমানে যে দেশ, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিকট যত সমৃদ্ধ ডাটা ও প্রযুক্তি আছে, সেই প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা দেশ তত বেশি সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সম্প্রতি ওরাকলের ক্লাউড ব্যবহার করে বাংলাদেশের নিজস্ব ডাটা সেন্টার স্থাপন করেছি, যেখানে আমাদের দেশের ও নাগরিকের সকল ডাটা নিরাপদে সংরক্ষিত থাকবে।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই ব্যাপক পরিবর্তনের সাথে কোনো প্রতিষ্ঠান, দেশ বা জাতি যদি খাপ খাইয়ে নিতে না পারে, তাহলে তারা এই যাত্রা বা সিস্টেম থেকে ছিটকে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত দশ বছর ধরে বলছেন, আমাদের সাইবার সিকিউরিটি, মেশিন লার্নিং, মাইক্রো চিপ ডিজাইন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর দক্ষতা ও সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। অন্যথায় শ্রমনির্ভর অর্থনীতির উপর বেশি দিন টিকে থাকতে পারবো না।   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনশীল নেতৃত্ব এবং আইসিটি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ নির্দেশনায় আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার, ওরিয়ন ইনফরমেটিকস চেয়ারম্যান স্থপতি ইকবাল হাবিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।