ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফরিদপুর মেডিকেলে সাংবাদিককে আটকে রাখার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
ফরিদপুর মেডিকেলে সাংবাদিককে আটকে রাখার অভিযোগ

ফরিদপুর: রাসেলস ভাইপার সাপে কাটা রোগীর তথ্য ও বক্তব্য নিতে যাওয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিককে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবিরকে প্রত্যাহার দাবি করেছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ ফটো সাংবাদিককে উদ্ধার করে।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে তাকে আটকে রাখা হয়।

হেনস্তার শিকার ফটো সাংবাদিকের নাম শেখ নয়ন (৩১)। তিনি বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফরিদপুরের ফটো সাংবাদিক।  

জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে শেখ নয়ন হাসপাতালটির পুরোনো ভবনের দোতলায় রাসেল ভাইপার সাপে কাটা রোগীর ভিডিও করতে গেলে তাকে বাধা দেন কর্মরত আনসার সদস্য সুব্রত দাস। এসময় তার ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে শেখ নয়নকে ওই ভবনের নিচতলায় আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ সুমনের কক্ষে নিয়ে  আটকে রাখা হয়।  

মোবাইল ফোনে নয়নকে আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হুমায়ুন কবির বলেন,  হাসপাতালের ভেতরে যে কোনো ছবি নিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি প্রয়োজন হয়, তিনি সেই অনুমতি নেননি।  

সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া চিত্র ধারণে অনুমতি প্রয়োজন হয় কি না এমন প্রশ্নে পরিচালক বলেন, মন্ত্রণালয়ের নিষেধ রয়েছে।

প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার হাসপাতালে গিয়ে শেখ নয়নকে উদ্ধার করেন।

হেনস্তার স্বীকার শেখ নয়ন জানান, চরভদ্রাসন উপজেলায় রাসেল ভাইপার সাপে কাটা একজন রোগীর ছবি ও তথ্য সংগ্রহের জন্য হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতালায় সার্জারি ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের সময় তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন আনসার সদস্যরা। পরে তাকে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহাসান তালুকদারকেও অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।  

এ বিষয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল জানান, শনিবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে বিষয়টি নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালে আজ সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার এবং হাসপাতাল পরিচালকের বেপরোয়া আচরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভা থেকে অবিলম্বে ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. হুমায়ূন কবিরকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।