ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি ৮৩ হাজার মানুষ, দ্রুতই নেমে যাবে পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
সিরাজগঞ্জে পানিবন্দি ৮৩ হাজার মানুষ, দ্রুতই নেমে যাবে পানি

সিরাজগঞ্জ: টানা ছয়দিন বাড়তে থাকার পর যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল হয়েছে। অপরদিকে জেলার কাজিপুর পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে পানি।

 

তবে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার অভ্যন্তরীণ চরাঞ্চলের ৩৪ ইউনিয়নের ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  

রোববার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫১ মিটার। ফলে পানি ২৪ ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে।  

অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৩৪ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দুটি পয়েন্টে তৃতীয় দফায় গত ১ জুলাই পানি বাড়তে শুরু করে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এখন দ্রুতই পানি নেমে যাবে। এ মাসে আর যমুনার পানি এ পয়েন্টে বাড়ার শঙ্কা নেই। আর বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।  

ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার ৩৮৫টি পরিবারের ৮৩ হাজার ১৫২ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য ৯৫ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে আরও ৪০৫ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, বানের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার ছয় হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলি জমি। এসব জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ এখন পানির নিচে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, পাঁচ উপজেলার ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রোজিনা আক্তার বলেন, জেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রয়েছে পাঠদান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।