ঢাকা: সরকারি চাকরির সব গ্রেডে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুরানা পল্টন মোড়েও শিক্ষার্থীরা অবরোধ করছেন। যার প্রভাব পড়েছে মতিঝিল-পল্টন ও আশপাশের এলাকায়।
যে কারণে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় পরিচালিত এ পরিবহনে উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ থেকে প্রচণ্ড ভিড় দেখা গেছে। শুধু মতিঝিল স্টেশনেই নয়, যাত্রীজট দেখা যায় বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনেও।
মতিঝিল থেকে মেট্রো রেলে উঠেছিলেন কামরুজ্জামান সোহাগ নামে এক যাত্রী। তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিকেল ৩টায় তিনি মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনে আসেন মিরপুর-১১ নম্বরে যাবেন বলে। মেট্রোয় উঠতে পেরেছেন বিকাল সোয়া চারটায়। যে সময় উঠেছেন, সে সময় বগিগুলোয় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। অনেক কষ্টে অন্যান্য যাত্রীদের ঠেলে ট্রেনে ওঠেন। সচিবালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভয়াবহ রকমের যাত্রীজট ছিল। ট্রেনে এসি চললেও মানুষের শরীরের তাপে পরিবেশ গরম হয়ে উঠছিল। বিজয় সরণির পর থেকে কিছুটা যাত্রীজট কমে। মিরপুর ১১ পর্যন্ত আসার পর অল্প কয়েকজন সিটে বসতে পেরেছেন।
এর আগে মতিঝিল স্টেশনে দেখা যায়- টিকিট কাউন্টার, টিউশন কম্পার্টমেন্টসহ প্রায় সব জায়গায় যাত্রী ঠাসা। একটি ট্রেন এলেই শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। ১০ মিনিট পর পর ট্রেন এলেও রেল কম্পার্টমেন্ট থেকে যাত্রীদের স্রোত কমছে না।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, উদ্বোধনের পর কখনও দিনে এত বেশি যাত্রী তারা দেখেননি। যাত্রীদের চাপে র্যাপিড ও এমআরটি রিডার মেশিনগুলো হ্যাং করছে।
বসিকুল ইসলাম নামে মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা জানান, তিনি সাধারণত বাসে যাতায়াত করেন। পল্টনে অবরোধের কারণে বাস চলাচল করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে মেট্রোরেলে উঠেছেন তিনি। আগারগাঁও নেমে সেখান থেকে অন্য পরিবহনে বাসায় ফিরবেন তিনি।
মতিঝিল থেকে সাভার যাবেন আব্দুল হাই। কিন্তু কোনোভাবেই বাসে যেতে পারছেন না। গত বৃহস্পতিবার না জেনে বাসে চড়ায় শাহবাগেই ৪ ঘণ্টা আটকে ছিলেন। আজ মেট্রোয় উঠেছেন। মিরপুর ১০ নম্বরে নেমে সেখান থেকে সাভারের বাসে চড়বেন।
পল্টন মোড়ে ছাত্রদের অবরোধের কারণে সোহাগ, বসিক, আব্দুল হাইয়ের মতো হাজারো যাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। যারা মতিঝিল থেকে পল্টন যাতায়াত করছেন, তারাও ‘দেরির শিকার’ হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
জেডএ/এমজে