ঢাকা: রাজধানীর বংশালে উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় কাউন্সিলরের অনুসারীদের সঙ্গে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল হোসেন (৫০), আওয়ামী লীগকর্মী মো. নাঈম (৪০), মো. রুবেল (৩৮) ও রুবেল গাজী (৩৫)।
অন্যদিকে কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে আহত হয়েছেন সুবল লাল ( ৩৬), রুমন দাস (৩৫), উদয় (২০), ঋষি কুমার (১৯), বিরুল দাস (২৪), বিমল দাস (৪০), করুন দাস (৩৫), শিবলাল (৪০), প্রশান্ত (১৩), নিরঞ্জন দাস (৭৫), নিলয় দাস (১৮) ও দীপ্ত দাস (১০)।
যুবলীগ নেতা মকবুল হোসেন জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়াল হোসেনসহ তারা সুইপার কলোনিতে যান সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে। তাদের কলোনি থেকে থেকে সরে যেতে বলা হয়। এসব বিষয় নিয়ে দুপক্ষের আলোচনার সময় সুইপাররা ভবনের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
সুইপার কলোনির বাসিন্দা উদয় কুমার বলেন, আমরা সকাল ১০টার দিকে উচ্ছেদের বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করি। এটি শেষ হতে না হতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ কাউন্সিলরের লোকজন কলোনিতে ঢোকেন। কলোনির বাসিন্দারা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ঢুকতে দিলেও বাধা দেন কাউন্সিলরের লোকজনদের। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের মারধর করেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেল পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সবার অবস্থাই আশঙ্কামুক্ত।
বংশালের আগা সাদেক লেনের মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদের জন্য সম্প্রতি নোটিশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
জানা গেছে, ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/