ঢাকা: রাজধানীতে ‘আক্রান্ত হয়ে’ আরও এক যুবক (২৫) মারা গেছেন। তাকে মাথায় ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই যুবককে ঢামেকে নিয়ে আসেন একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. আলী মিয়া ও হেলপার শাকিল। ৭টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢামেকের টিকিটে যুবকের নাম লেখা আছে মনির। তার জখমের ধরন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ফিজিক্যাল অ্যাসল্ট’ (হামলা)।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আলী মিয়া ও হেলপার শাকিল বলেন, তারা ইবনে সিনা হাসপাতালের আওতায় অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে থাকেন। তাদের মালিক মিজান ফোন করে জানান, দ্রুত পপুলার হাসপাতালে যেতে, সেখান থেকে একজন রোগীকে নিয়ে বাড্ডায় যেতে হবে। তখন তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ধানমন্ডির সিটি কলেজের পাশে পপুলার হাসপাতালে গেলে সেখানকার জরুরি বিভাগ থেকে লোকজন দ্রুত এই যুবককে মাথায় ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় আমাদের অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে দেয়। পরে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে এলে মারা যায়।
তবে তারা নিহত যুবকের পরিচয় বলতে পারেননি। কোথায় ঘটনা, কীভাবে তিনি আঘাত পেয়েছেন, সে ব্যাপারেও কিছুই বলতে পারেননি চালক-হেলপার।
হাসপাতালের টিকিটে মনির নাম কীভাবে এলো, এমন প্রশ্নের জবাবে, চালকের ও হেল্পার বলেন, কে বা কারা টিকিট কেটে মনির নাম বসিয়ে দিয়েছে, তারা জানেন না।
এর আগে, বিকেলে ঢাকা কলেজ ও সায়েন্সল্যাব এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের পর শরিফ ও আকাশ মামুন নামের দুই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শরিফ ও আকাশ মামুন জানান, নিহত যুবক মোটরসাইকেলে ছিলেন। তার পেছনে আরেকজন ছিলেন। তাকে সেখানে মারধর করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, নিহত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তার পরনে কালো জিন্স ও হালকা পেস্ট রঙের গেঞ্জি আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৪
এজেডএস/এইচএ/