নরসিংদী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘যেসব জঙ্গি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল, পুলিশ যাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ফলো করতে করতে আটক করেছিল, তাদের নয়জন ছিলেন নরসিংদী কারাগারে। দুষ্কৃতকারীরা কারাগারের গেট ভেঙে তাদের নিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান, কারা মহাপরিদর্শক এএসএম আনিসুল হক, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. বদিউল আলম, পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কারাগার পরিদর্শন শেষে পুড়ে যাওয়া জেল সুপারের বাসভবন পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ঘটনার দিন জেল সুপারের কার্যক্রমে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘আপনারা কী করলেন? এতগুলো অস্ত্র-গোলাবারুদ থাকা সত্ত্বেও একটা গুলিও চালাননি। তাদের কোনো লোক আহত হয়নি, আপনাদেরও না। কী করেছেন আপনারা?’
জেল সুপার কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অস্ত্র চালিয়ে এই দেশটাকে স্বাধীন করেছি। কী বোঝাবেন আমাকে?’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেন এ ঘটনা ঘটেছে, কারও গাফিলতি আছে কি না, কেউ এখানে জোগান দিয়েছে কি না তা তদন্ত করতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের গাফিলতি পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ’
কারাগার পালানো বন্দিরা আইনজীবীদের দ্বারস্থ
গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কারাগারের গেট ভেঙে বন্দিদের নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। তবে পরদিনই কিছু বন্দি কারাগারে ফিরে আসেন।
পরিবেশ না থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ফিরিয়ে দেয়। জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সোমবার (২২ জুলাই) বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে ১২৬ জন বন্দি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জঙ্গিদের ছাড়িয়ে নিতেই কারাগারে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। তারা আমাদের অনেক মক্কেলকে পিটিয়ে কারাগার থেকে বের করে দিয়েছে। সেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এর পর থেকে মক্কেলরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা জেলা দায়রা জজ, ডিসি ও এসপির সঙ্গে আলোচনা করে আজ (মঙ্গলবার) তাদের আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৪
এসআরএস