ঢাকা, শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

১৭ ঘণ্টা পর মধুমতি নদীতে ভেসে উঠল স্কুলছাত্রের মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
১৭ ঘণ্টা পর মধুমতি নদীতে ভেসে উঠল স্কুলছাত্রের মরদেহ মধুমতি নদীর ফাইল ছবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ডুবে যাওয়ার ১৭ ঘণ্টা পর ভাসমান অবস্থায় আবীর মোল্লা (৯) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের বকসিপুর-গয়েষপুর এলাকায় মধুমতি নদীতে জাগ দেওয়া পাটের গাদায় মরদেহটি দেখতে পায় এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে মৃতের স্বজনরা মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত আবীর মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের বরুচারা গ্রামের রিকশা-বাইসাইকেল মেকানিক রমজান মোল্লার ছেলে।  

ওই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবীর সাঁতার জানত না। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মাগুরার শ্রীপুরে গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে সে পানিতে ডুবে যায়। এলাকাবাসী নদীতে খোঁজাখুঁজি করে আবীরকে উদ্ধার করতে না পেরে শ্রীপুর দমকল বাহিনীকে খবর দেন। বিকেল ৪টার থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা নদীতে তল্লাশি করে আবীরের কোনো সন্ধান করতে পারেনি।

শ্রীপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ওই শিশু শিক্ষার্থী ডুবে যাওয়ার পর খুলনা থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবরি দল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, ডুবে যাওয়ার ১৭ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আবীরের মরদেহ ফরিদপুরের মধুখালীর বক্সিপুর-গয়েষপুর এলাকায় গড়াই নদীর ভাটিতে মধুমতি নদীতে ভেসে ওঠে। পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন করেন।

মাগুরার শ্রীপুরের দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সবুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিন মেয়ের পর আবীর ছিল একমাত্র ছেলে। তাই মা-বাবার পাশাপাশি বোনদেরও অতি আদরের ছোট ভাই ছিল সে। আবীর মারা যাওয়ায় তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরা শোকে মুহ্যমান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।