ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকাবাসীর কর্মসংস্থানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মেয়র তাপসের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
ঢাকাবাসীর কর্মসংস্থানে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মেয়র তাপসের গর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র ফজলে নূর তাপস। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: ঢাকাবাসীর সব পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি ‘মেয়র শেখ তাপসের কর্মসংস্থান কর্মসূচি -- ঢাকা হবে বেকারমুক্ত নগরী’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৩১ জুলাই) নগর ভবনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে তিনি এ কর্মসূচির কথা জানান।

পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ২০২৪-২০২৯ মেয়াদে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান মেয়র।

মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা শুধু বাংলাদেশের প্রশাসনিক রাজধানীই নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অন্যতম চালিকাশক্তিও বটে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের ৩৬ শতাংশ ঢাকা যোগান দিয়ে থাকে। দেশের কর্মসংস্থানের একটি বৃহৎ অংশ এই ঢাকাতেই সৃষ্টি হয়। ফলে, ঢাকা মহানগরী সারা দেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের অন্যতম একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

‘কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করা যায় যে, ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত, ভোটার এবং ঢাদসিক এলাকার বাসা, বাড়ি, স্থাপনার কর বা হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধকারী পরিবারের অনেকেই এখনও বেকার রয়েছে এবং যথাযথ কর্মসংস্থান প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই, ঢাকাবাসীর সব পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে আমি পাঁচ বছর মেয়াদি ‘মেয়র শেখ তাপসের কর্মসংস্থান কর্মসূচি -- ঢাকা হবে বেকারমুক্ত নগরী’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ’

উপকারভোগী জনগোষ্ঠী কারা হবেন তা জানিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, ভোটার এবং বাসা, বাড়ি, স্থাপনার কর বা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদানকারী ব্যক্তি অথবা তার পরিবারের সদস্যরা। এখানে পরিবার বলতে ব্যক্তি, তার স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তান-সন্ততিদের (পুত্র-কন্যা) বুঝাবে।

কোন কোন খাতে সহযোগিতা:

মেয়র জানান, মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ঢাদসিক, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা। মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাকরি বা নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাদসিকের বিপণিবিতান বা বাজারে মেয়র কোটা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মার্কেট উপ-আইন অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ দেন। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে সুদমুক্ত দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ বা তহবিল দেওয়া। উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে দুই থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা।

প্রযোজ্য শর্তাবলি:

হালনাগাদ কর পরিশোধকৃত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদস্য আবেদন করার যোগ্য হবেন। পরিবারের যে কোনো উপযুক্ত সদস্য যে কোনো একটি কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।