ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৪
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী: টানা দু'দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির স্রোতে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পরশুরাম উপজেলায় ১০টি গ্রাম ও ফুলগাজী উপজেলায় ১০টি গ্রাম গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরশুরামের শালধর এলাকায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

 

এতে উপজেলার চিথলিয়া, বক্স মাহমুদ, মির্জানগর ও পৌর এলাকাসহ বেশ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

অপরদিকে একই দিন দুপুরে ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে  ফুলগাজী ইউনিয়নে-৩টি, আমজাদ হাট ইউনিয়নে ৫টি ও মুন্সিরহাট ইউনিয়নে ২টি মিলে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে,  ফুলগাজী উপজেলায় এক হাজার এবং পরশুরাম উপজেলায় দুই হাজার ৪০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।  

গত জুলাই মাসে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আবারো বন্যার কবলে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা হাজার হাজার মানুষ।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পরবর্তী ভাঙনকৃত স্থানগুলো নামমাত্র মেরামত করায় আবারো এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বারবার ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষ নদীর বাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি, বন্যার আশঙ্কা স্থানীয়রদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, পরশুরামের শালধরে যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। গত জুলাই মাসে পূর্বের ভাঙন স্থান মেরামত শেষ হওয়ার আগেই সে স্থান আবার ভেঙেছে।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা জানান,  প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।  

আবহাওয়া অধিপ্তরের তথ্যমতে, ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২৪
এসএইচডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।