ঢাকা, সোমবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ত্রাস-সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে বলল সম্প্রীতি বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
সন্ত্রাস-সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে বলল সম্প্রীতি বাংলাদেশ

ঢাকা: বাংলাদেশ যেন শান্তি ও সম্প্রীতির পুণ্যভূমি হিসেবে বিশ্বমাঝে দৃষ্টান্ত করে, নতুন প্রজন্মের কাছে সেই আহ্বান জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস-সহিংসতা ও সংঘাতের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

শনিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত সন্ত্রাস-সংঘাত-সহিংসতা নয়, চাই শান্তি-সম্প্রীতির বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ আহ্বান জানান।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক নাট্যজন পীযূষ বন্দোপধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসু দেব ধর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের প্রধান ভান্তে বুদ্ধানন্দ মহাথেরো, খৃস্টীয় ধর্মযাজক রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী, শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইউসুফ রাজ, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান।

আলোচনা সভায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য ও সাংবাদিক আলী হাবিব ও ফরহাদ মাহমুদের লেখা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপধ্যায়। তিনি বলেন, এই যে এত সহিংসতা, সংঘাত, নৈরাজ্য, মৃত্যু- এর দায় কে নেবে? দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কি কোনো দায় নেই? রাজনীতি কেন এত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেবে? এতে লোকসানটা কার? দেশেরই তো। কোটা আন্দোলনের মধ্যে অপরাজনীতি ঢুকিয়ে দেশের একটি প্রজন্মকে রাজনীতির প্রতি তো বটেই, রাজনীতিকদের প্রতিও বীতশ্রদ্ধ করে তোলা হয়েছে৷ এর ফল কি হবে?

তিনি বলেন, রাজনীতিবিমুখ হবে আগামী প্রজন্ম। মেধাবী একটি প্রজন্ম রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তার বদলে সামাজিক দুষ্কৃতিরা হয়তো নিজেদের স্থায়ী আসন করে নেবে রাজনীতিতে। রাজনীতি চলে যাবে নষ্টদের দখলে। বুদ্ধিবৃত্তির বদলে পেশিশক্তি স্থায়ী হবে। সেই দৈন্যও কি দেখতে হবে আমাদের? সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে স্যোশাল ট্রমা। সমাজে একটি ভীতি ঢুকে গেছে৷ সৃষ্টি হয়েছে আস্থাহীনতার পরিবেশ। এই ক্ষত সারাবে কে? নবীন ও প্রবীণ হাত ধরাধরি করে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ কখনোই পথ হারাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়টা সুখকর নয়। গত ৫০ বছর বাংলাদেশকে ভালবেসে যারা লড়াই করে গেছেন তারা কোনো সংকটে ভয় পায় না। কাজেই এই আঘাত থাকবে না। আমাদের সেই বিশ্বাস আছে। আমরা রাজনীতিকে সৎ পথে ডাকতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।