ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবনতি ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে ২২ আইনপ্রণেতার চিঠি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবনতি ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে ২২ আইনপ্রণেতার চিঠি

ঢাকা: বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যোগ নিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি লিখেছেন দেশটির ২২ জন আইনপ্রণেতা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার লেখা ওই চিঠিতে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড জে মারকি, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং এই চিঠির উদ্যোক্তা। সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকি’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনেটর মারকির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিনেটর এডওয়ার্ড জে. মারকি এবং প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার একটি দ্বিদলীয় চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অবনতিশীল অবস্থায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনকারী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিই তুলে ধরে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের চিঠিতে লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চলতি বছরের জানুয়ারিতে গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রম নীতিমালার উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়া, অতি সম্প্রতি বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া উল্লেখযোগ্য। এই উদ্বেগজনক ও অব্যাহত প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি আছে, সেগুলো সমুন্নত রাখতে ব্লিঙ্কেন নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।

চিঠিতে আরও বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সব সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো সমালোচনামূলক নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশি জনগণের বিরুদ্ধে উপরিউক্ত অপব্যবহারের জন্য জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদার হয়ে বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারকে সমর্থন করতে হবে। সেই সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে ও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সম্মান করবে।

চিঠিতে স্বাক্ষর করা অন্যান্য আইনপ্রণেতারা হলেন—সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন, সিনেটর ডিক ডারবিন, সিনেটর টিম কেইন, সিনেটর টামি বল্ডউইন, সিনেটর জেফ মার্কলে ও সিনেটর ক্রিস মারফি। এ ছাড়া মার্কিন প্রতিনিধি সভার যেসব সদস্য স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন—সেথ মল্টন, লরি ট্রাহান, জো উইলসন, দিনা টাইটাস, গ্রেস মেং, গেরি কনলি, গাবে আমো, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমর, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ, ড্যান কিলডি, বারবারা লি ও জেমস ময়লান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।