ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রামগঞ্জ থানার লুট হওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
রামগঞ্জ থানার লুট হওয়া অস্ত্র সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, গুলি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ১৮ আনসার ব্যাটালিয়ন এবং উপজেলা আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা অস্ত্র গুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি ৭.৬২ মি.মি. রাইফেল, দুটি পিস্তল, একটি ডামি পিস্তল, তিনটি শর্টগান, দুটি হাতকড়া, ৫৬ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪৫ রাউন্ড রাবার কার্তুজ, ৩৯ রাউন্ড সিসা কার্তুজ, দুটি ওয়ারলেস, চারটি ল্যাপটপ, বন্দুকের মাথা দুটি, চারটি মোবাইল ফোন ও ইউপিএস একটি।

উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্র ফেরত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। এরপর কিছু কিছু অস্ত্র ফেরত আসতে শুরু করে। থানার পুকুরেও অস্ত্র পাওয়া যায়।

এদিকে শনিবার দুপুরে পুড়ে যাওয়া থানা পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামছুল আরেফিন, জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন তুর্কি, হারুন ও এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।

এসময় পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। সে সময় আমাদের কিছু অস্ত্র হারানো গেছে। সবাইকে অনুরোধ করবো অস্ত্রগুলো দ্রুত থানায় জমা দিতে।

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, রামগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দারা ভালো থাকুক। তাই আজকে থেকেই আমরা থানার কার্যক্রম শুরু করে দিলাম। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতারাসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা রামগঞ্জ ও রায়পুর থানায় অগ্নিসংযোগ করে এবং অস্ত্র-গুলি লুট করে। থানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। এছাড়া জেলার বাকী চারটি থানার পুলিশ সদস্যরাও নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেয়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় জেলার ছয়টি থানার মধ্যে সদর মডেল থানা, চন্দ্রগঞ্জ থানা, রামগতি থানার কার্যক্রম শুক্রবার থেকে শুরু করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।