ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্র আন্দোলনে হওয়া ঢাকার মামলা বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রত্যাহার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
ছাত্র আন্দোলনে হওয়া ঢাকার মামলা বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রত্যাহার

ঢাকা: ঢাকা শহরে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত মিথ্যা ও প্রতারণামূলক মামলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রত্যাহার হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বুধবার (১৪ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি৷ 

আসিফ নজরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা শহরে যত মিথ্যা ও প্রতারণামূলক মামলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেগুলো প্রত্যাহার করা হবে।

আর সারা দেশে হওয়া এ ধরনের মামলা প্রত্যাহার করা হবে ৩১ আগস্টের মধ্যে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনে গায়েবি মামলার প্রমাণ করে দিলেও দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বিচার বিভাগের চোখে তা পড়েনি। কেন পড়ত না, আমি খুব অবাক হতাম। আল্লাহ আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন তা জানার। অবশ্যই গায়েবিসহ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক যত মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করে নেব। পরের পদক্ষেপেই আমরা দেখব।

এ ছাড়া রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়েছে। তিনিসহ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে করা মামলা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করা হবে।

আয়নাঘরের ভুক্তভোগীদের সহায়তা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদেরও কথা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসার সুযোগ তাদের রয়েছে। মনে রাখবেন, এ ট্রাইব্যুনালে যেকোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। কাজেই তারা গুমের মামলা করতে পারেন।

আসিফ নজরুল আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেকোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারেন। রাষ্ট্রও পারে, ভুক্তভোগীরাও মামলা করতে পারেন। পরে রাষ্ট্রীয়ভাবেও আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এ নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি ভাবিনি। আমরা এখন জুলাই হত্যাকাণ্ডে মনোযোগ দিয়েছি।

তিনি বলেন, আয়নাঘরে গুমের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই এটিকে খাটো করে দেখছি না। অবশ্যই এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের যে কেউ আমাদের সহায়তা চাইলে আমরা করব।

আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান বিচারপতি একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনিসহ আপিল বিভাগের বাকি বিচারপতিদের নিয়োগেই স্পষ্ট যে, তাদের নিয়োগে কীসের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জোর দেয়া হয়েছে কোয়ালিটির ওপর। এ ছাড়া বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার-স্বজনদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।