ফরিদপুর: ফরিদপুরে সালথা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক (৪৫) ও তন্ময় চক্রবর্তী (৩৫) নামে আরেক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৩ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহা. মামুন অর রশিদ মামুন।
মামলাটি দায়ের করেন, জেলার সালথা উপজেলার ভাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম মো. হাফিজুর রহমান মুন্নু (৬৪) নামে এক ব্যক্তি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, হাফিজুর রহমান মুন্নু একজন অবসরপ্রাপ্ত গ্রামীণ ব্যাংকের ডিজিএম। তিনি স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা যোগসাজশে তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ তার। পরে ভয়ে ও নিরুপায় হয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দেন তাদের। পরবর্তী সময়ে চাপ প্রয়োগ করলেও বাকি টাকা না দিতে পারায় তার নামে বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. হাফিজুর রহমান মুন্নুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার কাছে পুলিশের চাঁদাবাজি চাওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রমাণ আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার কাছে কোনো ফোন রেকর্ড কিংবা প্রমাণ নেই। কারণ, তার সঙ্গে সব কথা হোয়াটসঅ্যাপে বলা হয়েছিল। এছাড়া সেসময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় মামলাটি করতে বিলম্বিত হয়েছে তার। ’
তবে চাঁদাবাজির মামলার বিষয়টি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন সালথা থানার সাবেক ওসি মো. শেখ সাদিক।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি কখনোই কারও কাছে থেকে চাঁদাবাজি ও ঘুষ দাবি করিনি। আমি সালথায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছি। আমি কেমন ছিলাম সেটা সালথার প্রতিটা মানুষই জানে। আমাকে নিছক হয়রানি করার জন্য এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি। ’
মামলার অপর অভিযুক্ত এসআই তন্ময় চক্রবর্তীও দায়েরকৃত এ মামলাকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক দাবি করেছেন। আদালত থেকে ন্যায় বিচার পাবেন বলে বিশ্বাস তার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৪
এসআরএস