পাবনা (ঈশ্বরদী): শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখে পড়ে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি। তিনি আন্দোলনরত ছাত্রীদের ধর্ষণ করানোর হুমকি দিয়েছিলেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে নিজ কার্যালয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেন তিনি। তার আগে সকাল থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করছিরেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তাসনিম মাহাবুব প্রাপ্তি (রুয়েট), মো. রাউফুল ইসলাম অন্তর (ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), আসিকুল ইসলাম জারিফ (পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ), জারিন তাসনিম সিমিসহ (বাকৃবি) কয়েকজন সমন্বয়ক দাবি করেন, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে তাদের ধর্ষণ করানোর হুমকি দেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ঈশ্বরদী উপজেলা চত্বরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে। অবশেষে বিকেলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন কাকলি।
লিখিত পদত্যাগপত্রে কাকলি বলেন, আমি আতিয়া ফেরদৌস কাকলি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ। আজ ১৮/০৮/২০২৪ ইং পদত্যাগ করলাম। আজ থেকে এ পদে আমি আর দায়িত্ব পালন করব না।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এটা আমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে ২৫ জুন আতিয়া ফেরদৌস কাকলি রাজশাহীতে শপথ নেন। ২৭ জুন সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুন্নবী বিশ্বাসের মেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
এসআই