নীলফামারী: সৈয়দপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে এ উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চত্বর। কয়েক দিনের তুলনায় প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে।
সৈয়দপুর সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাকিমা পারভীন বলেন, আমি রংপুরের তারাগঞ্জ থেকে আসি। দূরে হওয়ায় এ কয়দিন স্কুলে আসিনি এখন থেকে আবার নিয়মিত ক্লাস করব। নাসরিন সুলতানা নামের এক অভিভাবক বলেন, কয়েকদিন দেশের পরিস্থিতির কারণে ভয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠায়নি। কিন্তু এখন থেকে মেয়েকে নিয়মিত স্কুলে আসার জন্য বলেছি।
সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হাজারীহাট স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান চৌধুরী বলেন, ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে। তবে আমরা সন্দিহান, সম্প্রতি স্কুল শাখায় ষাণ্মাসিক (মূল্যায়ন) পরীক্ষা চারটি বিষয়ে হয়ে গেছে বাকি বিষয়গুলোর কি পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে যে বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে সেগুলো বাদে আমরা অন্য বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিচ্ছি।
সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, তার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি মোটামুটি ভালো। তবে আরও ভালো হবে বলে আশা করছি।
সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই ভালো। আশা রাখি আরও ভালো হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন কারিকুলামে যে চারটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের মুখে গত ১৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সময় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৭ জুলাই থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
এসএম