ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাতক্ষীরার সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবীরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
সাতক্ষীরার সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবীরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাতক্ষীরা: ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ছাত্র শিবিরের সাতক্ষীরা শহর শাখার সেক্রেটারি আমিনুর রহমানসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইনামুল হকসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।  

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আরঙ্গজেব বাবলা বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামলনগরের একটি মেসে পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইনামুল হকের নেতৃত্ব অভিযান পরিচালনার নামে তৎকালীন ছাত্র শিবিরের শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় মেসে থাকা আরও ছয়জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ কাছ থেকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন মামলাটি আমলে নেয়নি। এখন আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

মামলার আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. ইনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম রনি, যুবলীগ নেতা এসএম ইউসুফ সুলতান, ডিবির আলি হোসেন, কামালনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোকছেদ সরদারের ছেলে মো. বাবর আলী, আবুল কাশেম (এস.আই), হুমায়ূন কবীর (এস.আই), বিধান কুমার বিশ্বাস (এস.আই), ইয়াছিন আলী (এস.আই), লিটন বিশ্বাস (এ.এস.আই), কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম, কনস্টেবল বেলায়েত হোসেন, কনস্টেবল জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল বাবুল হোসেন, কনস্টেবল ফারুখ হোসেন, কনস্টেবল শেখ আলম, এস.আই আব্দুল হান্নান, এস.আই হান্নান শরীফ, এস.আই আবুজার গিফারী, কনস্টেবল হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল রাসেল মাহমুদ, কনস্টেবল ওমর ফারুক, কনস্টেবল আব্দুর রহমান, কনস্টেবল আবিদুর রহমান, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান, কনস্টেবল বদরুল আলম ও তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।