কুমিল্লা: কুমিল্লায় বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে তিন দিনে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মারা যান দুইজন, বুধবার মারা যান তিনজন, সোমবার মারা গেছেন একজন।
জানা গেছে, লাকসাম উপজেলায় খালিদ মাহমুদ নামে এক আলিম পরীক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তিনি বন্যার্তদের জন্য পানি পৌঁছে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকেলে বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে একই উপজেলার আরেক শিশুর মৃত্যু হয়। লাকসাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার মধ্যরাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে তলিয়ে যান কেরামত আলী। পরে প্রবল স্রোতে অদৃশ্য হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তার লাশ ভেসে উঠে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস দেব বলেন, কেরামত আলীকে রাত ১২টার দিকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে পরিবার তার লাশ নিয়ে যায়।
একই বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১আগস্ট) সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে।
এর আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে ওই আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জানা যায়, সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়:১২৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৪
এসএম