ফরিদপুর: ফরিদপুর সদরে হাসেম শেখের পরিবারের ওপর প্রতিপক্ষ লিটু সিকদার ও ভোলা সিকদার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ছয়জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় হাসেমের ভাই সেকেন শেখ ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
আহতরা হলেন- হাসেম শেখ (৫০), তার স্ত্রী নুরজাহান (৪০), ছেলে, মূসা শেখ, সুমন শেখ, হাসেমের ভাই লালন শেখ, রাশেদা বেগম (৪০), আকলিমা বেগম, ছুফিয়া বেগম এবং হাসেমের ভাই শেখ খলিল (৪৮)।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, হাসেম শেখ নিজ বাড়িতে প্রবেশের রাস্তার জন্য ১ শতাংশ জমি কিনে প্রতিবেশী ওসমান সিকদারের ছেলে ভোলা সিকদারের কাছ থেকে। কিন্তু ভোলা সিকদার সেই জমি তাকে বুঝিয়ে দেয় না। রাস্তা বুঝে দেওয়ার জন্য এলাকায় স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ হলেও তারা কর্ণপাত না করে সেই জমিতে কলাগাছ লাগিয়ে দেয়। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
বাদী সেকেন শেখ বলেন, রোববার সকাল ৯টার দিকে হাসেমের ছেলে মুসা বাড়ির সামনে পাট নিচ্ছিলেন। সেখানে লিটু সিকদার এসে প্রথমে মুসাকে থাপ্পড় মারে। লিটুর কাছে মারার কারণ জানতে চাইলে কথাকাটাকাটি হয়। পরে লিটু সিকদার, ভোলা সিকদার, তাজো সিকদার, দানেজ সিকদার, কালাম সিকদারসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় ২০ জনের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। তারা আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল কাউকে হত্যা করার।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে নাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের উপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি এখন ঠান্ডা রয়েছে। তারা আবারও হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত এজাহার পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
এসএম