ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বন্যার্তদের ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
বন্যার্তদের ত্রাণ ও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে বিজিবি

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে। এখন পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার ২ হাজার ৯১৪ জনকে উদ্ধার ও ৬৩ হাজার ৭১৪টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং ২৩ হাজার ৩১১ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিজিবির সদর দপ্তর থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বিজিবি জানায়, এখন পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭২৮টি, পরশুরামে ৫ হাজার ৮১২টি, ছাগলনাইয়ায় ৪ হাজার ৯৫১টি, ফুলগাজীতে ৬ হাজার ৩৬টি, সোনাগাজীতে ৪ হাজার ২৭৯টি এবং দাগনভূঁইয়ায় ৭ হাজার ৭৮৫টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, কুমিল্লার আদর্শ সদরে ৭ হাজার ১০৯টি, বুড়িচংয়ে ২ হাজার ৬৪টি, লাঙ্গলকোটে ১ হাজার ১৪৮টি এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় ১ হাজার ৯২৫টি, নোয়াখালী সদরে ৪৮০টি, বেগমগঞ্জে ১ হাজার ২১৫টি এবং সোনাইমুড়ীতে ২০০টি, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগরে ১৫০টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৫০০টি, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১ হাজার ৯০০টি, খাগড়াছড়ির গুইমারায় ৩৩টি, মাটিরাঙায় ৪৬৭টি,  পানছড়িতে ৪১০টি, দীঘিনালায় ২৪০টি এবং রামগড়ে ১ হাজার ৫৫০টি, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ৬৪০টি, বরকলে ১৩৫টি, লংগদুতে ১০০টি এবং কাপ্তাইয়ে ৫৫২টি, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১৫০টি, চট্টগ্রামে ২০০টি, খুলনার পাইকগাছায় ৫০০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়া বিজিবি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ফেনীর ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজ ও যশপুরে, নোয়াখালীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে এবং কুমিল্লার বুড়িচংয়ের সোনার বাংলা কলেজে ৩ হাজার ৪৫৫টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনী কারাগারের স্টাফ ও ৪০০ জন কারাবন্দিসহ সর্বমোট ২ হাজার ২০০ জনকে রান্না করা খাবার, বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে।

বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে বন্যাদুর্গত ফেনী সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৬৪৭ জন, পরশুরামের ৩ হাজার ২৬২ জন, ছাগলনাইয়ায় ২ হাজার ৮২৮ জন, ফুলগাজীতে ৬৬০ জন, দাগনভূঁইয়ায় ৫৮০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কুমিল্লার আদর্শ সদরে ১ হাজার ৭৫০ জন, বুড়িচংয়ের ৭০০ জন, নাঙ্গলকোটে ১ হাজার ২০০ জন, চৌদ্দগ্রামে ৪৮৫ জন এবং ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭৮৫ জন, নোয়াখালীর সেনবাগে ৮২৫ জন এবং সোনাইমুড়িতে ৫৫০ জন, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৯৬০ জন, খাগড়াছড়ির খেদাছড়াতে ২৫০ জন, দীঘিনালায় ১৯৭ জন এবং রামগড়ে ৪০০ জন, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ৬৯২ জন এবং বরকলে ৪০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ৫০০ প্যাকেট প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যাদুর্গত ফেনীর পরশুরামে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া নাজমুল নামে দেড় বছর বয়সী এক শিশুকে উদ্ধার করে বিজিবির হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া ও চিকিৎসা শেষে তাদের পরশুরামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লার বিবির বাজারের অরণ্যপুর নামক স্থানে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিলে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার করে স্থানীয় জনসাধারণকে বন্যার কবলে থেকে রক্ষা করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।