নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রাবেয়া মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার বাইপাস সড়কে রয়েছে ১৪টিরও বেশি বাঁক। সড়কটিতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন, করিমনসহ তিন চাকার যানবাহন (থ্রি-হুইলার) চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও মানা হচ্ছে না।
সূত্র জানায়, সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে একটু আগে মামুন রাইসমিলের কাছে, বাটু সরকারের মোড়, ওয়াপদা মোড়, রেলঘুন্টির কাছে, মিস্ত্রিপাড়া মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে ১৪টির বেশি বাঁক রয়েছে। এ সড়কে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার বাস চলাচল করে থাকে। নীলফামারীর অভ্যন্তরীণ রুটের বাসগুলোও এ সড়কে চলাচল করে থাকে। সড়কটিতে নছিমন, করিমনসহ তিন চাকার যানবাহন (থ্রি-হুইলার) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরও বিশেষ কায়দায় চলছে এসব যানবাহন। ফলে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
জুলফিকার আলী নামে ওই রুটের এক বাসচালক বাংলানিউজকে বলেন, সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রাবেয়া মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার বাইপাস সড়কে অনেকগুলো বাঁক থাকায় দূর থেকে বোঝা যায় না যে গাড়ি আসছে নাকি আসছে না। এছাড়া সড়কের দুপাশে দোকানপাট, বাজার রয়েছে। আছে ক্রসিং সড়কও। সবমিলে সড়কটির অনিরাপদ হয়ে উঠেছে।
নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনওয়াজ সানু বলেন, বিষয়টি বহুবার জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কটির বাঁকগুলো সোজা করলে দুর্ঘটনা অনেক কমে আসবে। কিন্তু সেদিকে কারও নজর নেই। আবার মহাসড়কটিতে তিন চাকার (থ্রি-হুইলার) যানবাহনের কারণেও বেড়েছে দুর্ঘটনা।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বাইপাস সড়কে নির্দিষ্ট গতির চেয়ে বেশি গতিতে বড় গাড়ি চলাচল করে। এমনকি একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সড়কটিতে বেশ কয়েকটি বাঁক রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এসআরএস