ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহীতে উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহীতে উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

রাজশাহী: রাজশাহীতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই সকাল থেকেই রাজশাহী শহরে পৃথক পৃথক জশনে জুলুস বের করা হয়।

প্রিয় মহানবী হজরত মুহাম্মদের (সা.) শুভ আগমন উপলক্ষে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এসব জশনে জুলুস ও শোভাযাত্রা মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সোমবার সকাল ৮টায় মহানগরীর শিরোইল কলোনির বায়তুল মামুর জামে মসজিদ থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও বিশাল জশনে জলুস বের করা হয়। রাজশাহী মহানগর গাউসিয়া কমিটি এর আয়োজন করে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও মসজিদ কমিটির উদ্যোগেও আলাদা আলাদাভাবে জশনে জুলুস বের করা হয়।  

এর মধ্যে বিশাল শোভাযাত্রাটি বের করা হয় গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে। এটি মহানগরীর শিরোইল কলোনির ৪ নম্বর গলির মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়। এটি মহানগরীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক ঘুরে দরগাপাড়ায় থাকা হজরত শাহ মখদুম রূপশের (রহ.) মাজারে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে হজরত শাহ মখদুম রূপশের (র.) মাজারে চাদর চড়ানো, পুস্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করা হয়। এ সময় রাজশাহীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এবং দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন মহানগরীর শিরোইল কলোনি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আতাউল মোস্তাফা কাদেরী।

পরে তিনি সবাইকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, রাসূলের (সা.) জন্ম না হলে পৃথিবীর জন্ম হতো না। পাহাড়-পর্বত কিছুই আল্লাহপাক সৃষ্টি করতেন না। আজ তার আগমনের সেই শুভ দিন। তিনি সকল মুসলিমের পক্ষ থেকে রাসূলের (সা.) রওজামোবারকের উদ্দেশে সালাম পেশ করেন।

শোভাযাত্রা শেষে মহানগরীর শিরোইল কলোনি বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ফিরে মিলাদ মাহফিল শেষে তাবারক বিতরণ করা হয়।

এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আধাসরকারি ভবন এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।  

এর পাশাপাশি ‘কালিমা তায়্যিবা’ লিখিত ব্যানারও মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-ডিভাইডারে লাগানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ভবনে বর্ণিল আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ফজরের নামাজের পর থেকেই মহানগরীর মসজিদে মসজিদে বয়ান, হামদ-নাত পরিবেশন ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।