নীলফামারী: নীলফামারীতে বিএনপি নেতা গোলাম রাব্বানীকে হত্যার অভিযোগে প্রায় ১১ বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরসহ আওয়ামী লীগের ৪১ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নীলফামারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন গৃহবধূ শাহানাজ বেগম। বাদী জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর স্ত্রী।
আদালত মামলা গ্রহণ করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশকে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এদিকে নূরের গ্রেপ্তারে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নীলফামারীতে আনন্দ মিছিল হয়েছে এবং কোথাও কোথাও মিষ্টিও বিতরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা হয়। সেই ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর বাড়িতে তাকে হত্যার উদ্দেশে খুঁজতে যায়। সেখানে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পরে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি কয়েকজন যুবক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় থানা ও ডিবি অফিসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে স্থানীয়দের মাধ্যমে ১৮ জানুয়ারি জানতে পারে নীলফামারীর আরজী ইটাখোলা এলাকায় নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে বাঁশঝাড়ে রব্বানীর মরদেহ পড়ে আছে। তা জানতে পেরে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি নেয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশে জেলা সদরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে আজ নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
আরবি