ঢাকা: গণমাধ্যম নীতি বা সম্প্রচার নীতি- যে নামই হোক, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এটি প্রয়োজন মন্তব্য করে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যম নীতি প্রণয়ন করা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমের সংস্কার, নিয়োগ কমিশন গঠন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা ও মব জাস্টিসের প্রতিবাদে আয়োজিত এক ‘গণপ্রতিরোধ’ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ ‘গণপ্রতিরোধ’ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’।
‘গণপ্রতিরোধ’ কর্মসূচিতে ফরহাদ মজহার বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন, সেজন্য সরকারের উচিত গণমাধ্যম নীতি প্রণয়ন করা। এ নীতি ছাড়া গণমাধ্যমকর্মীরা স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে পারবেন না।
ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা মনে করবেন না এটা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। আপনারা যেমন–তেমন করে যেখান থেকে লোক এনে বসিয়ে দেবেন, তা হবে না। যারা বিজ্ঞ মানুষ, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। বাংলা একাডেমির সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট, কিন্তু শিল্পকলা একাডেমির সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নই।
এক পক্ষীয়ভাবে নেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের নিন্দা করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণই তাদের ক্ষমতায় এনেছে। ক্ষমতায় গিয়ে যদি জনগণের কথা না শোনেন, তাহলে মারাত্মক ক্ষতি করছেন। এ সময়ে বিভিন্ন বিপর্যয়ের জন্য আপনারা এককভাবে দায়ী।
কথায় কথায় তরুণ শিক্ষার্থীদের দোষারোপ না করার আহ্বান জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, তারুণ্যের নেতৃত্বে এ অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু তরুণেরা করে দেবেন, এ আশা করা যাবে না। হলে নিয়ে এসে পিটিয়ে মারার ঘটনায় তরুণদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল মোমেনীন মানিকের সভাপতিত্বে ‘গণপ্রতিরোধ’ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসাদ বিন রনি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের খুরশিদ আলম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাংবাদিক শাহীন রেজাসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এসসি/এসআই