ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে নিহত রফিকুল ইসলাম ও সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশান থানা পুলিশ মরদেহ দুটি মর্গে পাঠায়।
হাসপাতালে নিহত রফিকুল ইসলামের ভাতিজা হুমায়ুন কবির জানান, রফিকুল ঝালকাঠি জেলার নলছিটির বাসিন্দা হলেও বরিশাল সদর উপজেলা এলাকায় রফিকুলের বাড়ি আছে। গুলশানে বেশ কয়েক বছর ধরে একটি প্লট দেখাশোনার দায়িত্ব পালন রফিকুল পাশাপাশি সেখানেই তার একটি মুদি ও চায়ের দোকান ছিল। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বড় ছেলে বাপ্পি নারায়ণগঞ্জ থেকে গুলশানে যান। তিনি আজ গুলশানের সেই প্লটটির সামনে গিয়ে গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে তিনি বিকট গন্ধ পান এবং পরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
সাব্বিরের মামাতো ভাই আব্দুল খালেক জানান, সাব্বির ময়মনসিংহ জেলার গৌড়িপুরের বাসিন্দা এবং তার বাবা মাছের ব্যবসা করেন। সাব্বির গত ১৫ দিন আগে রাগ করে ঢাকায় চলে আসেন এবং রফিকুলের দোকানে কাজ শুরু করেন।
গুলশান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, নিহতদের মাথা-গলাসহ শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আরও পড়ুন: গুলশানে দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ