ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টুকে (৫৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিজ অফিসে বসা অবস্থায় পেছন দিক থেকে একাধিক গুলি ছুড়ে।

এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।  

এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট, ও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের নাসির উদ্দিন বলেন, অন্য দিনের মতো ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এসময় কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুইজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ পেছন দিকের জানালা দিয়ে পর পর পাঁচ রাউন্ড গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন চেয়ারম্যান।  

অপর প্রত্যক্ষদর্শী সেবা নিতে আসা মিজানুর বলেন, আমি নাগরিক সনদ নিতে পরিষদের যাই। এসময় চেয়ারম্যানের রুমে চার/পাঁচ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনি। পরে এসে দেখি চেয়ারম্যান সাহেব ঘরের মেঝেতে পরে আছেন। রক্ত গড়িয়ে যাচ্ছে।

নিহত চেয়ারম্যানের বোন সানোয়ারা খাতুন বলেন, এলাকায় কারো সঙ্গেই ভাইয়ের কোনো শত্রুতা ছিল না। তবে সরকার পতনের পর স্থানীয় একটি পক্ষ চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়ে আসছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিরপুর-ইবি সার্কেল) আব্দুল খালেক জানান, ফিলিপনগর ইউপি চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের ছুড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, তবে ঠিক কী কারণে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।

জানা যায়, নঈমুদ্দিন সেন্টু এক সময় বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ সময় তাকে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যায়। এর আগেও তিনি এই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।