ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোশাকশ্রমিকদের অবরোধে ৩৬ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২৪
পোশাকশ্রমিকদের অবরোধে ৩৬ ঘণ্টা যানচলাচল বন্ধ

সাভার (ঢাকা): টানা ৩৬ ঘণ্টা ধরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। তবে দীর্ঘ সময় যানচলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা।

সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি কোনো পক্ষই।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল থানা রোড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র। এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল থেকেই সড়ক অবরোধ করে চলছে আন্দোলন। ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা মালিকপক্ষের কাউকে আন্দোলন থামাতে দেখা যায়নি। এতে বেড়েছে যানবাহনের সারি। দূরপাল্লার অনেক যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাতে পায়ে হেঁটে রওনা করতে দেখা গেছে।



এ ছাড়া অনেক যানবাহন কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। কোন উপায় না পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের ধাওয়া দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ডিইপিজেডের একটি কারখানার শ্রমিক আমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ধামরাই থেকে ডিইপিজেডের একটি কারখানায় চাকরি করি। সকালে নবীনগর থেকে পায়ে হেঁটে কারখানায় যেতে হয়েছে। ছুটির পরও পায়ে হেঁটে প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ যেতে হয়েছে। তারপরেও আমরা শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের দাবি জানাই।

শরিফ নামে এক ট্রাকচালক বলেন, গতকাল সকাল ৮টার সময় আশুলিয়া পুরাতন থানা সংলগ্ন এলাকায় আটকে পড়ি। আজ রাত ৯টা পর্যন্ত একই স্থানে বসে আছি। বাসা শ্রীপুরে হওয়ায় বাসা থেকে খাবার সরবরাহ করছে পরিবার। আমার জীবনে এরকম অবরোধ দেখিনি। অতীতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বা তার বেশি অবরোধ ছিল। কিন্তু টানা ৩০/৩২ ঘণ্টা অবরোধ আসলেই কষ্টের।

এ ব্যাপারে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গত ২৭ আগস্টে ইস্যু করা নোটিশের মাধ্যমে ২৮ আগস্ট থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের সকল কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এ সময় শ্রমিক কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমতো শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে আরও তিন মাস সময় চায় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন, যা মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৯টা পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।