ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টানা বৃষ্টিতে সৈয়দপুর পৌর সড়কের বেহাল দশা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
টানা বৃষ্টিতে সৈয়দপুর পৌর সড়কের বেহাল দশা

নীলফামারী: টানা বৃষ্টিপাত চলছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে। বৃষ্টি থেমেছে কিন্তু সড়কে রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন।

পৌর এলাকার প্রতিটি রাস্তাতেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগও।  

গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে টানা বৃষ্টিপাত হয় এই জনপদে। অবশ্য গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আর কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারও (৩ অক্টোবর) সকালে বৃষ্টিপাত হয়েছে।  

সৈয়দপুর পৌরসভার সূত্র মতে, সৈয়দপুর পৌরসভার ৩৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে শহরে রয়েছে ২০০ কিমি পাকা সড়ক।  এসবের মধ্যে ১০টি প্রধান সড়ক ও পাড়া-মহল্লার সড়ক। গত পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে শহরের জলাবদ্ধতায় ৭০ ভাগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

সূত্রটি জানায়, টানা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় সৈয়দপুর শহরের কত কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও নিরূপণ করা যায়নি। তবে পৌরসভার একটি সূত্র মতে, শহরের ১০০ কিলোমিটার সড়কে ভয়াবহ খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শহরের ৭০ ভাগ রাস্তা দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কার না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।  

পৌরসভার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক হচ্ছে সৈয়দপুর তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক, বিচালিহাটি থেকে মিস্ত্রীপাড়া মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়ক। এই দুটি সড়ক মেরামতের জন্য সৈয়দপুরের মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন।  

সৈয়দপুর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন জাভিস্কো বলেন, সৈয়দপুর হচ্ছে একটি প্রাচীনতম প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। গত ১০ বছরে এ শহরের কোনো রাস্তাই মেরামত করা হয়নি। কদিনের টানা বৃষ্টিতে ওই রাস্তাগুলো আরও ঝুঁকিপূর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত এসব মেরামত করতে হবে।  

সরজমিনে তামান্না মোড়ের শেরেবাংলা সড়কে গেলে কথা হয় রিকশা চালক ফতে আলী (৪০) এর সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে প্রতিদিন রিকশার যন্ত্রপাতি কিনতে কিনতে মরে যাচ্ছি। ভাঙা রাস্তায় রিকশা চালাতে গিয়ে কোনোদিন ফ্রক আবার কোনোদিন স্পোক ভাঙছে। চেসিস ফেটে যাচ্ছে। যাত্রী নিয়েও রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়তে হচ্ছে।  

ইজি-বাইক জিসান আলী (৩২) বলেন, গত শনিবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। ওইদিন আমার অটো রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। এমন ভাঙাচোরা রাস্তায় যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে ভরা।   এরমধ্যে ১০০ কিমি সড়ক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে এখন সড়কগুলো শোচনীয় হয়ে পড়েছে।  ক্ষতি নিরূপণে কাজ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। পৌরসভার ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের তালিকা করা হচ্ছে। জনদুর্ভোগ কমাতে এসব সড়ক দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।