ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৩৩ হাজার পরিবার, চলছে ত্রাণ বিতরণ  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
ময়মনসিংহে পানিবন্দি ৩৩ হাজার পরিবার, চলছে ত্রাণ বিতরণ  

ময়মনসিংহ: ভারতের গারো পাহাড়ের পাদদেশ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এখনো ৩৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ফলে খাবার সংকটে থাকা পরিবারগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম।

    

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এ তথ্য।

হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদুল আহমেদ জানান, বন্যা দুর্গত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ‍্যে ইতোমধ্যে ভূবনকূড়া, জুবলী, কৈচাপুর, সদর, গাজীরভিটা ও পৌর এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ধারা, ধূরাইল, নড়াইল, সাখুয়াই, আমতৈল ও বিলডোরাসহ অপর ৬টি ইউনিয়নে। এতে ওইসব এলাকায় বতর্মানে ১৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।  

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, উপজেলার মোট ৭টি ইউনিয়নের মধ‍্যে গামারীতলা, ঘোঁষগাঁও এবং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নে কমেছে বন্যার পানি। তবে সদর, গোয়াতলা, পোড়াকানদলিয়া ও বাগবেড়সহ ৪টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি থাকায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি।     

এছাড়াও নতুন করে ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর, ছনধরা ও সদর ইউনিয়ন নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি ভাটির দিকে নেমে আসায় বর্তমানে ফুলপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৫ হাজার একশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ‍্যা ১৭ হাজার।  

জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা  মো. সানোয়ার হোসেন জানান, বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দিদের উদ্ধার কাজের পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে চলছে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। এসব এলাকায় ইতোমধ্যে ৬৩ মেট্রিক টন চাল, ৭ লাখ নগদ টাকা এবং দুই হাজার শুকনো খাবারের প‍্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।  

অপরদিকে বন্যার কারণে ম‍ৎস্য খাতের ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ৭ হাজার ৮০ জন মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ২১৭ লাখ, ভেসে গেছে ৫ হাজার ৬২৪ লাখ টাকার মাছ ও ১৪৯ লাখ টাকার রেনু পোনা ভেসে গেছে।

এছাড়াও জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, জেলার তিনটি উপজেলার মধ‍্যে ধোবাউড়া উপজেলায় ১১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। হালুয়াঘাটে তলিয়ে গেছে ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান এবং ৭৫ হেক্টর সবজি ফসল। একই অবস্থা ফুলপুরেও। এই উপজেলায় ৩ হাজার ৬৩০ হেক্টর ধান এবং ৬২ হেক্টর সবজি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।