মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় হায়াতুন নেছা (৬২) নামের এক নারীর মরদেহ মিলল সিন্দুকের ভেতর। এই ঘটনায় ছেলের বউ ও তার মাকে (ছেলের শাশুড়ি) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হায়াতুন নেছার ভাতিজা নেয়ামত বাদী হয়ে সিংগাইর থানার মামলা দায়েরের করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নয়াডাঙ্গী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুল খালেকের স্ত্রী রুনা আক্তার (২৮) ও রুনার মা রেণুকা বেগম (৫০)।
নিহত হায়াতুন নেছা সিংগাইর উপজেলার নয়াডাঙ্গী গ্রামের মাহমুদ কাজীর স্ত্রী।
জানা যায়, হায়াতুন নেছার একমাত্র ছেলে কাজী খালেক জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে থাকেন। বউ-শাশুড়ি উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় বসবাস করতেন। তবে তাদের মধ্যে তেমন একটা মিল ছিল না। মাঝে মধ্যেই কথা-কাটাকাটি হতো দুজনের মধ্যে। গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে বউ পরকীয়া করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে রোববার সকালে বাপের বাড়ি গিয়ে মা রেণু বেগমকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়ি ফেরেন রুনা। পরে রাতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা হায়াতুন নেছাকে খোঁজে না পেয়ে রুনাকে চাপ প্রয়োগ করলে তিনি তালবাহানা করতে থাকেন। পরে সন্দেহ হলে ঘরে গিয়ে স্টিলের বাক্সের ভেতর মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা পুত্রবধূ ও তার মাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, পরকীয়া বাধা দেওয়ায় শাশুড়িকে হত্যার করে সিন্দুকে ভেতর রাখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসএম