ঢাকা: পুলিশের কাজে গতিশীলতা ফেরাতে ৫০টি গাড়ি যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিশনাল কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী।
বুধবার (০৯অক্টোবর) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে আয়োজিত থানার সক্ষমতা বাড়াতে নতুন গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। এতোদিন ধরে সেসব যানবাহন সংকটে ভুগছে পুলিশ বাহিনী।
এ বিষয়ে হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন। পুলিশি কাজে যানবাহন একটি অন্যতম উপকরণ। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের যানবাহন একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র। এটিকে সামনে রেখেই পুলিশ কমিশনার মহোদয় আমাদের গাড়ির বহরে আরও ৫০টি গাড়ি যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই ৫০টি গাড়ির অংশ হিসেবে আজকে আমাদের বহরে ১০টি গাড়ি যুক্ত করবো। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০টি গাড়ি যোগ হবে। এই গাড়িগুলো আমাদের যে ৫০টি থানা রয়েছে সেসব থানায় বিতরণ হবে। অপরাধ দমন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব গাড়িগুলো ব্যবহৃত হবে।
আজ ১০টি গাড়ি যেসব থানায় হস্তান্তর করা হবে - উত্তরা পূর্ব থানা, গুলশান, তেজগাঁও, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল এবং নিউ মার্কেট থানা।
হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে এই দশটি গাড়ি এসব থানায় বিতরণ করা হবে। আমরা আশা করছি, এই গাড়িগুলো যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানার কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবে।
আন্দোলনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের ২২টি থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮৬টি, এর মধ্যে ৯৭টি গাড়ি পুড়ে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি আমাদের প্রায় ৯ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। যে সমস্ত লজিস্টিক সাপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা ইতোমধ্যে প্রায় সব রেডি করে ফেলেছি। পর্যায়ক্রমে থানাগুলোতে আমরা সেগুলো পাঠাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৪
এমএমআই/এসএএইচ