খুলনা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় খুলনায়ও শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে শুরু পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমী পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোলে যেন ধ্বনিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের হৃদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা ও ঢাকের বাদ্য। জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপ এখন উৎসবে মাতোয়ারা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দলবেঁধে পূজা দেখতে যাচ্ছেন। দুপুর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।
জানা যায়, খুলনায় ৯৯১টি পূজামণ্ডপের মধ্যে মহানগরে ১০১টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১১৩টি, ডুমুরিয়া উপজেলায় ২১৪টি তেরখাদা উপজেলায় ১০৭টি, পাইকগাছা উপজেলায় ১৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এছাড়া দাকোপ উপজেলায় ৮৪টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ৬৩টি, ফুলতলা উপজেলায় ৩৪টি, রূপসা উপজেলায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
শারদীয় দুর্গোৎসবে শান্তি-শৃঙ্খলা ও উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। সেই সাথে পূজা চলাকালীন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সজাগ অবস্থায় রয়েছে।
দুপুরে বটিয়াঘাটার নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির দুর্গাপূজার মণ্ডপে আসা প্রদীপ পাল বলেন, বুধবার সকাল থেকে ৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির দুর্গাপূজার মণ্ডপটি এ এলাকার সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ। যে কারণে এখানে দর্শনার্থীও বেশি।
খুলনার পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, খুলনার ৯ উপজেলায় এবার ৭৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পূজামণ্ডপকে তিন ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এরমধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ রয়েছে ১৫৭টি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ২৪৬টি এবং সাধারণ পূজামণ্ডপ ৩৩৭টি।
তিনি আরও বলেন, এবারের দুর্গা উৎসবে খুলনা জেলা পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ৯৬৫ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। সংখ্যা আরও বাড়বে। নিরাপত্তায় ডিবির টিম, থানা পুলিশ, সাইবার মনিটরিং আছে। এছাড়া সাদা পোশাকে এবং যৌথবাহিনীর সঙ্গেও নিরাপত্তায় কাজ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৪
এমআরএম/এএটি